১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পেলেন রিকশাচালক হাসান

রিকশাচালক হাসান

রিকশাচালক হাসান

বেশ কয়েক বছর আগে পিতৃহারা হয়েছেন হাসান। বড় ভাই শাহ আলম বিয়ে করে মা-ভাইকে ফেলে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে উঠেছেন। বাধ্য হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় হাসানকে। সংসার চালাতে রিকশা চালানোর পেশা বেছে নেন। পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। লেখাপড়া করে বড় কিছু করার স্বপ্ন থাকলেও জীবিকার তাগিদে সেটা হয়নি হাসানের। তবে ভাগ্য তার দিকে মুখ ফিরিয়েও থাকেনি। মাত্র ১০৩ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পেলেন রিকশাচালক হাসান।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ড্রিল শেড ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণার সময় নিজের নাম শুনে খুশিতে কেঁদেই ফেলেন তিনি।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) টুটুল চক্রবর্তী যখন অন্যান্যদের সঙ্গে তাকেও ফুল দিয়ে বরণ করেন। তখন হাসান আবেগে এসপি টুটুল চক্রবর্তীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন। এ সময় এসপি তাকে বুকে জড়িয়ে নেন।

হাসান বলেন, পুলিশে চাকরি পাবো এমন ধারণা ছিল না। তবুও বন্ধুদের সঙ্গে হুজুগের বশে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গেলাম। তারপর লিখিত পরীক্ষাতেও টিকে গেলাম। তারপরও মনে হচ্ছিল আমাদের মতো গরিব মানুষের চাকরি হবে না। কারণ আমরা তো টাকা দিতে পারবো না। মৌখিক পরীক্ষাতে ঠিকই বাদ পড়ে যাবো। মৌখিক পরীক্ষাও ভালোভাবে দিলাম। 

আজ চূড়ান্ত বাছাইয়ের সময় আমার নাম বলায় আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। আমার চোখে পানি চলে এসেছে।

পাঠকের মন্তব্য