নওগাঁ রাণীনগরে ধর্ষণের প্রধান আসামী ধরাছোঁয়ার বাহিরে

মোহন আলী
নওগাঁর রাণীনগরে সপ্তম শ্রেণীর স্কুল পড়–য়া ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করার ঘটনায় মামলার ১৮দিন অতিবাহিত হলেও ধরাছোয়ার বাহিরে ধর্ষক মোহন আলী। প্রধান আসামীকে আজও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষনের ঘটনার শুরু থেকেই কতিপয় প্রভাবশালী মোড়লরা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্তছিল। এখন মামলার পর আসামীদের বাঁচানোর জন্য তারা দেনদরবার-তদবির করেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে।
মামলা ও ভুক্তভুগির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের অটোভ্যান চালক আজিজার রহমানের কলেজ পড়–য়া ছেলে মোহন আলী (২৩) পাশের একটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল পড়–য়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমিক মোহন আলী গত ৭জুন সুকৌশলে প্রেমিকাকে নিয়ে অজনার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমায়। এসময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার মধ্যে বেশ কয়েকবার মোহন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং বিয়ে না করে ২দিন পর প্রেমিকাকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনা জানাজনি হলে এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মোড়লরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে তৎপর হয়ে ওঠে এবং সময় অতিবাহিত করার সুকৌশল হিসেবে দেনদরবার চালিয়ে যেতে থাকে। উপায় অন্তর না পেয়ে ধর্ষিতা ছাত্রীর মা থানার আশ্রয় নিয়ে ধর্ষক মোহনসহ আরো ৫/৬ জনকে আসামী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬, তাং ২৪/০৬/১৯ ধারা-৭/৯(১)৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বড় ভাই মিঠু বলেন মামলা করে প্রায় ১৮দিন পার হচ্ছে। আসামীরা পলাতক থাকার কারণে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। আমরা চাই আসামীদের দ্রুত আটক করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মূল আসামী মোহনসহ সবাই পলাতক। তাদের বাড়িতে বর্তমানে তালা ঝুলছে। তবে সবাইকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য