বাউবির পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত নকল

বাউবির পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে উন্মুক্ত নকল
চাটমোহরের দু’টি কেন্দ্রে বাউবির পরীক্ষায় উন্মুক্তভাবে নকলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নকল করতে দেয়ার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ারও অভিযোগ করেছেন অনেকে। প্রশাসনের সহায়তায় নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের কথা বলা হলেও এখানে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। পাবনার চাটমোহর উপজেলার দু’টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। কেন্দ্র দু’টি হলো চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও আটলংকা প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি (অনার্স) কলেজ।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) এবং ব্যাচেলর অব সোস্যাল সায়েন্স (বিএসএস) ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৯১ জন এবং প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষার্থী ৩৩৭ জন। এই দু’টি কেন্দ্রে অবাধে ও উন্মুক্তভাবে নকল করার সুযোগ দেয়ার বিনিময়ে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।
শুক্রবার পরীক্ষার প্রথম দিনেই ব্যাপক নকলবাজির মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত নকল প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিশ্চুপ থেকেছেন। কারণ যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন, তারা সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, সমাজপতি, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলালসহ অনেকেই এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিরুপায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ মাহমুদ সরকার সঞ্জু পরীক্ষায় নকলের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পরীক্ষায় তেমন নকল হচ্ছে না। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার কথাও অস্বীকার করেন এ অধ্যক্ষ।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আপনার (রিপোর্টার) কাছে অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলে, সকালের পরীক্ষার সময় শেষ, বিকেলে বিষয়টি দেখবো।
প্রফেসর বয়েন উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের রিসোর্স সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, আমি তো কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করলাম। নকল প্রতিরোধে চেষ্টা করছি। তিনি এ প্রতিনিধিকে কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, তিনি ঢাকায় আছেন। এসি ল্যান্ডকে কেন্দ্র পাঠানোর কথা বলেন।
পাঠকের মন্তব্য