প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন রিজভী

‘টিভির স্বাধীনতা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় রিজভী

‘টিভির স্বাধীনতা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় রিজভী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দলীয় প্রোপাগান্ডা (প্রচারণা) মেশিন হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
 
রিজভী বলেন, টিভি চ্যানেলগুলো ‘আওয়ামী রসগোল্লা’ গিলতে বাধ্য হয়। এ ক্ষেত্রে টিভি মালিক ও সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের কিছু করার থাকে না। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার (২৮ আগস্ট) সাক্ষাৎ করেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল মালিক (অ্যাটকো) প্রতিনিধিরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। রিজভী প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যেরই সমালোচনা করলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, টিভি চ্যানেলগুলো বাধ্য হয়ে সরকারি ট্যাবলেট গিলছে। তারা সত্য প্রচার করলে দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টিভি কিংবা ইসলামিক টিভির মতো পরিণতি হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ পরাধীন। নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে। দেশের জনগণ গুম, খুন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ে সত্য কথা বলছে না। সত্য বললেই নির্যাতন নেমে আসে। রিজভী বলেন, সত্য প্রচারের জন্য সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের জেল, জুলুম এবং গুমের শিকার হতে হচ্ছে। অনেককে সত্য লেখনীর জন্য দেশ ছাড়তে হয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ সত্য ও স্বাধীন মতামত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করলে তার ওপর নেমে আসবে জুলুম। যেভাবে নেমে এসেছে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও কলামিস্ট শফিক রেহমানের ওপর।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অ্যাটকো প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওই সাক্ষাতে আরও বলেন, আগে বাংলাদেশে একটি চ্যানেল  (বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি) ছিল। আমরা ১৯৯৬ সালে এসে এ সেক্টরকে বেসরকারিখাতে উন্মুক্ত করে দিই।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে বিস্তারিত জানান।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের প্রতিষ্ঠান অ্যাটকো প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সব বেসরকারি টিভি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সম্প্রচার শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।

টিভি চ্যানেলগুলোকে ‘পে’ চ্যানেল করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন অ্যাটকো নেতারা। তখন উপস্থিত ছিলেন- তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মালিক সালমান এফ রহমান, তথ্য সচিব আবদুল মালেক।

অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- অ্যাটকো সভাপতি ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের মালিক অঞ্জন চৌধুরী, ডিবিসি টেলিভিশন মালিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একাত্তর টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু ও সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের।

পাঠকের মন্তব্য