আপনি তারেক রহমানকে নেতা বানাবেন কেন ?

আপনি তারেক রহমানকে নেতা বানাবেন কেন ?
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নিজের স্বার্থ বিবেচিত না হওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বের হয়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার প্রতি সম্মান রেখেই আমি বলতে চাই। আপনি তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য ফ্রন্টে আসেন নাই। আর এটা আমরা জানি যে, আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় ফ্রন্টে এসেছিলেন। আর নিজের স্বার্থ বিবেচিত হয়নি বলেই সেখান থেকে আপনি ফেরত যাবেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আর এটা বুঝার মতো সক্ষমতা আপামর জনগোষ্ঠীর আছে।’
কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাকে একটা কথা বলতে চাই। আপনি তারেক রহমানকে নেতা বানাবেন কেন? কারণ ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই তারেক রহমান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আর তারেক রহমান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। তাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়। আর নেতা বলেই তো পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়। সুতরাং নেতা বলেই বিদেশে বসে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু আকার-ইঙ্গিতে কেউ তার নেতৃত্বের প্রতি অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেননি। আর তারেক রহমানকে নেতা আপনাকে বানাতে হবে? নেতা তৈরি হয় জনগণের ইচ্ছায় উপর।’
রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে কারা-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ইন্দন দিচ্ছে সরকার। যদি ইন্ধন না দেয় তাহলে তারা লাখ লাখ সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কিভাবে? বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে যেখানে সভা-সমাবেশ করতে দেন না। সেখানে উন্মুক্ত ময়দানে রোহিঙ্গারা সমাবেশ করছে। সেখানে আমি তো মনে করি, সরকারের ইন্ধন রয়েছে।’
রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আর এই উদ্যোগটা সরকারকে নিতে হবে। আরও বলা হচ্ছে যে, রোহিঙ্গারা যেতে চায় না। কেন যেতে চায় না। ওই যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ইন্দন। যদি তারা চলে যায়, তাহলে আপনি তাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। আর তাদের রেখে যদি জাতীয় সংকট সৃষ্টি করতে চান তাহলে সেটা অন্য কথা!
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে হবে- এই শব্দটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়। কারণ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার কখনো আদালত করে না। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর বিচার হয় জনগণের আদালতে। আর আমরা দৃঢ়তা ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং জনগণের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, জনগণের আদালতে খালেদা জিয়া এখনো দোষী সাব্যস্ত হয় নাই।’
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমাদের মনোবল ও শক্তির উপর আস্থার অভাব আছে। সেই কারণে বলছি, আমাদের আরও ভাবতে হবে। আর ঘরে- বাইরে এই চক্রান্ত কে করছে? এটা আজকে আমাদের বুঝতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের সুযোগ গ্রহণ করতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মন্তব্য