লুটপাটের নীতিতে দেশ চালাচ্ছে সরকার : রিজভী 

রিজভী 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লুটপাটের নীতিতে দেশ চালাচ্ছে তারা। জনগণকে নানা ট্যাক্সের মধ্যে বন্দি করে ফেলেছে। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছে বহুগুণ। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল কয়েক বছরে বাড়িয়েছে ১০ গুণের বেশি।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।

দেশের মহাসড়কগুলো টোল আদায়ের জন্য উপযুক্ত না” উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাদেশের অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে মহাসড়ক গুলোতেও। এসব কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এছাড়াও, নানা কারণে সব রাস্তায় যানজট লেগেই আছে। যানজটের কারণে গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারে না৷ এর মধ্যে টোলঘর বসালে প্রতিবন্ধকতা আরো বাড়বে৷ যানজটের পরিমাণও বেড়ে যাবে।”

“এমনিতে বাস ভাড়া অনেক বেশি। সড়কে টোল আদায় করলে বাস ভাড়া আরো বাড়বে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া পরিবহন মালিকরা নেন না। তারা অনেক বেশি টাকা নেন। এখন টোলের টাকাও যাত্রীদের কাছ থেকে উঠানো হবে। এই টোলের ফলে যাত্রীদের টাকার অপচয় হবে, সময়ের অপচয় হবে। ফলে যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন,” যোগ করেন বিএনপি নেতা।

এছাড়াও, টোল থেকে আদায় হওয়া টাকার কতো অংশ সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে সেই প্রশ্নও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, সরকার নিজেরা টাকা ওঠালে সেখানে দুর্নীতির কারণে নয়-ছয় হয়৷ আবার ইজারা দিলে খাতিরের লোকজনকে নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয়৷ ফলে সরকারি কোষাগারে খুব বেশি টাকা জমা পড়ে না।” রিজভী বলেন, “অন্যদিকে, টোল প্লাজা পার হতে যদি প্রতিটি গাড়ির পাঁচ মিনিট করেও সময় লাগে তাহলে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাঁচ লাখ মিনিট সময় মানুষের জীবন থেকে চলে যাবে৷

এই এক লাখ গাড়িতে তো অনেক মানুষ চড়বেন৷ এর পাশাপাশি টোল আদায়ের সময় গাড়ির অতিরিক্ত তেল পুড়লে তার টাকাও আদায় করা হবে জনগণের কাছ থেকেই।