ছাত্রলীগের দুর্নীতি ঢাকতেই ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ

ছাত্রলীগের দুর্নীতি ঢাকতেই ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ

ছাত্রলীগের দুর্নীতি ঢাকতেই ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

আজ (রোববার) দুপুরে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

রিজভী বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল হলো একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সেই কাউন্সিল আজকে আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীরা আজকে গণতন্ত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছে। কাউন্সিলকে ঘিরে একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছিল। সেই আমেজ সরকার সহ্য করতে পারল না। ছাত্রলীগের দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতে ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ করা হয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৪ থেকে ৬ শতাংশ চাঁদা দাবি করেছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এই চাঁদাকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- ঈদের খরচ হিসেবে ন্যায্য পাওনা। এই চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তর্কবিতর্ক এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।

রিজভী আরও বলেন, এ সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৮৬ কোটি টাকা দুর্নীতির কারণে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের দুর্নীতির কোন প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। আসলে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি এই দেশে বার বার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। সেজন্যই তিনি বন্দি। তিনি বাইরে থাকলে মধ্যরাতের নির্বাচন করতে পারতেন না।

এদেশে কর্তৃত্ববাদ নয়, গণতন্ত্রই টিকে থাকবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। সেই লড়াইয়ের জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবেন।

পাঠকের মন্তব্য