বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ‘ক্লিন ইমেজ’ যারা 

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষনমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র দূরীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা।

এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের মধ্য থেকে স্বাধীনতা ও প্রগতিকামী যুবক ও যুব মহিলাদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলাই যুবলীগের উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবলীগের নেতা কর্মীরা দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করে ।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়মিত হলেও দলটির সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সম্মেলন নিয়মিত হচ্ছে না। সর্বশেষ সম্মেলনের পর কেটে গেছে ৭ বছর। যদিও সংগঠনটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বক্তব্য ভিন্ন। তারা বলছেন, সম্মেলন করার জন্য যুবলীগের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। সংগঠনটির সরাসরি অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন বলবেন তখনই সম্মেলন হবে। সম্মেলন করার মতো সার্বিক প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে।

আগামী জাতীয় সম্মেলনের আগেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোয় পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নেতাকর্মীদের কাছে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছেন অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রাজনীতির নামে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তি প্রয়োগ ইত্যাদির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের পর এবার সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রতিও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আগামীতে সৎ পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদরা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে আসবেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবখানে এমন রাজনীতিক নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। কোনভাবেই দলে বিতর্কিতদের রাখা হবে না। আওয়ামী লীগের একাধিক নীতি নির্ধারক বলছেন যে, একজন ভালো সংগঠক হওয়ার চেয়ে একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ক্লিন ইমেজ যারা 

সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, আওয়ামী যুবলীগ
প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, আওয়ামী যুবলীগ
প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, আওয়ামী যুবলীগ 
প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, আওয়ামী যুবলীগ 
প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট বেলাল হোসেন, আওয়ামী যুবলীগ  
প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান হিরোন, আওয়ামী যুবলীগ
প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল সাত্তার মাসুদ, আওয়ামী যুবলীগ
প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, আওয়ামী যুবলীগ  
প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব মাখন, আওয়ামী যুবলীগ

যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, আওয়ামী যুবলীগ 
যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম শাহিন, আওয়ামী যুবলীগ 
যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ, আওয়ামী যুবলীগ 

সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, আওয়ামী যুবলীগ 
সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, আওয়ামী যুবলীগ    

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু, আওয়ামী যুবলীগ 
কৃষি সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী যুবলীগ 

উপ-সম্পাদক মতিউর রহমান বাদশা, আওয়ামী যুবলীগ  
উপ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরীন সুলতানা শেফালি, আওয়ামী যুবলীগ 
উপ-সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, আওয়ামী যুবলীগ 
উপ-সম্পাদক কাজী মাজাহার, আওয়ামী যুবলীগ 
উপ-সম্পাদক শ্যামল রায়, আওয়ামী যুবলীগ 

সহ-সম্পাদক জহির উদদীন খসরু, আওয়ামী যুবলীগ
সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান পবন, আওয়ামী যুবলীগ 
সহ-সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, আওয়ামী যুবলীগ 
সহ-সম্পাদক এড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, আওয়ামী যুবলীগ
সহ-সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ, আওয়ামী যুবলীগ
সহ-সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী যুবলীগ  
সহ-সম্পাদক মিল্লাত হোসাইন, আওয়ামী যুবলীগ  

কার্যনির্বাহী সদস্য মশিউর রহমান চপল, আওয়ামী যুবলীগ 
কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামিল রানা, আওয়ামী যুবলীগ
কার্যনির্বাহী সদস্য এন আই আহমেদ সৈকত, আওয়ামী যুবলীগ
কার্যনির্বাহী সদস্য মুকিদ চৌধুরী, আওয়ামী যুবলীগ 
কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, আওয়ামী যুবলীগ 

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল হবে। এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অপরদিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হবে। তবে সম্মেলনের দিন তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।

পাঠকের মন্তব্য