সংগঠক লতিফ মির্জার নাম রাজাকারের তালিকায়

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক লতিফ মির্জার নাম রাজাকারের তালিকায়

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক লতিফ মির্জার নাম রাজাকারের তালিকায়

প্রকাশিত রাজাকারদের নামের তালিকায় সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জার নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। অবিলম্বে ওই তালিকা থেকে আব্দুল লতিফ মির্জার নাম বাদ দিয়ে সংশোধনী তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

রাজাকারের তালিকায় স্বামীর নাম থাকায় অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল লতিফ মির্জার স্ত্রী হোসনে আরা মির্জা। আব্দুল লতিফ মির্জা জেলার উল্লাপাড়া আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, সংসদে পালন করেছিলেন প্যানেল স্পিকারের দায়িত্বও।

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পলাশডাঙ্গা যুব শিবির নাম দিয়ে একটি বেসরকারি সাব-সেক্টরের পরিচালক ছিলেন লতিফ মির্জা। এমন রাজনীতিবিদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তার সহধর্মিণী হোসনে আরা মির্জা।

তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’

আব্দুল লতিফ মির্জার অধীনে জেলায় ৬শ’ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া এবং রাজশাহীর এক অংশে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। তার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সিরাজগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘লতিফ মির্জার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় দুঃখিত এবং মর্মাহত।’ যুদ্ধকালীন বিএনএফ উত্তর সাব সেক্টর কমান্ডার ইসহাক আলী বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সংগঠক অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস বলেন, ‘প্রকৃত রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকার, আলবদরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে সিরাজগঞ্জের মোট ৭২ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় আব্দুল লতিফ মির্জার সঙ্গে খুরশিদ নামে আরেক জন মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশিত হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য