জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি
বাংলা গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছেন। বর্তমানে তিনি জন্মস্থান রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাসায় রয়েছেন।
আজ রোববার তার পরিবারের বরাত দিয়ে আরেক কণ্ঠশিল্পী জাহাঙ্গীর সাঈদ জানান, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ৯ মাস সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। প্রায় এক মাস আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। কিন্তু গত দুই-তিন দিনে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে।
এদিকে আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর সাঈদ।
তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি এন্ড্রু কিশোরের ভাগনির সঙ্গে কথা বলেছেন। তার শারীরিক অবস্থা আনেকটাই খারাপ। এন্ড্রু কিশোরের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাকে নিয়ে গুজব না ছড়ানোর জন্যও অনুরোধ জানান।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সিঙ্গাপুর চিকিৎসার জন্য যান এন্ড্রু কিশোর। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু ও ঘনিষ্ঠজন জাহাঙ্গীর সাঈদ। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ছয় ধাপে ২৪টি ক্যামোথেরাপি দেওয়া হয়।
দীর্ঘ নয় মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জুন দেশে ফেরেন এন্ড্রু কিশোর। দেশের ফেরার পর তিনি জন্মস্থান রাজশাহীতে বোনের বাসায় চলে যান। তার ভগ্নিপতি একজন ক্যান্সার চিকিৎসক। তার তত্ত্বাবধানেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এ গুণী কণ্ঠশিল্পী। প্রথম ধাপের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেও প্রতি তিন মাস পর পর তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হবে চেকআপের জন্য।
এন্ড্রু কিশোর তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে মোট আট বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গানের মাধ্যমে সঙ্গীত জগতে আসেন তিনি। এরপর ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী।
পাঠকের মন্তব্য