বিএনপি শাসনামলে দলীয় সুপারিশে পুলিশে নিয়োগ পান প্রদীপ

বিএনপি শাসনামলে দলীয় সুপারিশে পুলিশে নিয়োগ পান প্রদীপ
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ দাস ও তার দলবলের অপকর্ম এখন টপ অপ কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই প্রদীপ দাসের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেও বহুল অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল।
ওসি প্রদীপ বিগত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে অবৈধ উপায়ে পুলিশের চাকরি বাগিয়ে নেন। ক্ষমতার পালা বদলের পর বিএনপির হাইকমান্ডের ইশারায় চরিত্র পাল্টে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে জড়িয়ে পড়েন খুন, গুম ও চাঁদাবাজির মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিগত বিএনপি শাসনামলে দলীয় সুপারিশে পুলিশে নিয়োগ পান প্রদীপ। বিপুল অর্থের বিনিময়ে তিনি পুলিশে চাকরি নেন বলেও জানা গেছে। চাকরি পাওয়ার পর কক্সবাজার বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দীন আহমেদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিধনে নেমে পড়েন। বিরোধী দল দমনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করায় তৎকালীন এসআই প্রদীপ তারেক রহমানের নজর কাড়তে সমর্থ হন। কয়েকবার তারেক রহমানের হাওয়া ভবনেও দেখা গেছে প্রদীপকে।
দেশের যেখানেই পোস্টিং হোক না কেন, আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলীয় নেতাদের নাস্তানাবুদ করতে প্রদীপকে নির্দেশ দেন খোদ তারেক রহমান। মূলত তারেক রহমানের পরোক্ষ প্ররোচনায় পুলিশের ইউনিফর্মে নানা কুকীর্তিতে জড়িয়ে পড়েন পুলিশের এই অফিসার। খুন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হয়রানি করে অর্থ আদায়ের মতো নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ। তার অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ঊর্ধ্বতন মহলে নালিশ করা হলেও তারেক রহমানের প্রিয় মানুষ হওয়ায় বারবার ছাড় পেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রদীপ।
পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের পতন ঘটলেও অপকর্ম চালিয়ে যান ওসি প্রদীপ। মূলত সরকারকে বিব্রত করতে পুলিশি দায়িত্বের আড়ালে অসামাজিক কাজ অব্যাহত রাখেন তিনি। সর্বশেষ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে গুলি করে হত্যা করে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেন প্রদীপ। ১৪৪ টি ক্রসফায়ারের ঘটনায় ১৬১ জন মানুষকে নানা অজুহাতে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন তিনি। পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করতে ওসি প্রদীপ অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। তবে তার অপকর্মের জন্য পুরো পুলিশ বাহিনীকে দায়ী করা সমীচীন হবে না বলেও মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
পাঠকের মন্তব্য