দৌলতদিয়াতে কড়া নিরাপত্তার চাঁদরে রমরমা বিয়ার ব্যবসা

ঝুমুর বাড়িওয়ালী ও জলিল ফকিরের ছবি

ঝুমুর বাড়িওয়ালী ও জলিল ফকিরের ছবি

দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লী। এই যৌলপল্লীতে প্রতিদিনই হাজার-হাজার লোকের আগমন ঘটে। দেহ ব্যবসার পাশাপাশি প্রকাশ্যে আমাদানী নিষিদ্ধ বিয়ার, দেশী ও বিদেশী মদ বিক্রি যেন নিত্যদিনের কারবার। 

বর্তমানে যৌনপল্লীর নিরাপত্তার জন্য পল্লীর প্রধান প্রবেশদ্বারে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ প্রহরা। পুলিশ প্রহরার কারনে মারপিট-লুটপাট নেই বললেই চলে। স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সময়ে প্রচারিত হয়েছে যৌনপল্লীর নানাবিধ বিষয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঝুমুর-জলিলের আমদানী নিষিদ্ধ বিয়ার, বিদেশী মদ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন সময়ে এরা ক্ষমতার জোরে বা টাকার জোরে পার পেয়ে গেছে। যৌনপল্লীতে পুলিশ নিযুক্ত থাকার পরও তারা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মাদক ব্যবসা ও দেহ ব্যবসা, দেখেও না দেখার ভান করে আছে স্থানীয় প্রশাসন। এ নিয়ে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন।

উল্লেখ থাকে যে, অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রীর মুখোশ লাগিয়ে ঝুমুর বেগম এই মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। অপরদিকে, তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড-এর সদস্য হওয়ার কারনে ঝুমুরের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করে না। করলেও তাদের লালিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মৃত্যুর হুমকি দেয়। ঝুমুর জলিলের যাতায়াতের জন্য রয়েছে অর্ধ কোটি মূলের গাড়ি। সে বসবাস করে কোটি টাকার বিলাস-বহুল বাড়িতে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় যে, পুর্বে ঝুমুর ছিল একজন সামান্য যৌনকর্মী। যৌনকর্ম করে সে জীবিকা নির্বাহ করত। 

জলিলের সাথে তার সম্পর্ক হাবার পর মাদক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করে সে আজ কোটিপতি। দৌলতদিয়াতে পতিতাদের জানাযার নামাজ চালুসহ কয়েকটি লোক দেখানো কাজের আড়ালে ওপেন সিক্রেটভাবে ঝুমুর-জলিল চালিয়ে যাচ্ছে আমদানী নিষিদ্ধ বিয়ার, মদ  ও দেহ ব্যবসা। গোপন সূত্রে আরও জানা যায়, ৫নং ওয়ার্ড, সোহরাপ মন্ডল পাড়া জলিল মেম্বারের গ্রামের বাড়িতে গভীর রাতে বিয়ার ও মদ এনে নামানো হয়। এর পরে তা চলে যায় যৌনপল্লীর ভেতরে। যৌনপল্লীতে ঝুমুরের বাড়ির সামনে দুই যুবক খোলামেলা ভাবে বিয়ার ও মদ বিক্রি করে, তাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে ৮/৯ জন কর্মচারী। এখন যৌনপল্লীতে রয়েছে তার একাধিক বাড়ি, সেখানে দালালদের মাধ্যমে বাহির থেকে নিয়ে আসা ১৪-১৫ বছরের মেয়েদের দিয়ে করায় জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা।

এছাড়াও পল্লীতে যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় ঝুমুর ও জলিল তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করে। এগুলো ছাড়াও তাদের নামে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।এসকল প্রকার অপকর্ম করে কিভাবে প্রশাসনের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সেটাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। 

এসকল বিষয়ে প্রজন্মকণ্ঠের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান- র‌্যাব ৮, সিপিসি-২, কোম্পানি কমান্ডার, দেবাশীষ কর্মকার-এর সাথে, তিনি বলেন... দৌলতদিয়া পতিতালয়সহ আশপাশের এলাকায় আমদের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকদ্রব্য যেন পতিতালয়ে ডুকতে না পারে সে বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। তাছাড়া ঝুমুর বাড়িওয়ালীর বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই আমাদের কাছে যৌনপল্লীতে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। খুব শিগ্রই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

পাঠকের মন্তব্য