কাঁপানো কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায় আর নেই

কাঁপানো কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায় আর নেই
আশির দশকের মাঠ কাঁপানো কিংবদন্তি ফুটবলার বাদল রায় মারা গেছেন।
রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫.৩৫ মিনিটে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিক্যালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই তারকা ফুটবলার
গত ৫ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক এই ফুটবলার। ১১ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে নেয়া স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে। পরে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় সেখানে তার লিভারে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
ডাক্তাররা তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বললে পরিবারের সদস্যরা স্কয়ার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বাবিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ডায়ালাইসিস করাতে নেয়া হয়েছিল ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিক্যালে। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
এর আগে ২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় সিঙ্গাপুর থেকে জটিল অস্ত্রোপচার করে নিয়ে আসা হয়। গত আগস্টে আক্রান্ত হন করোনাভাইরাসে।
দেশের হয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে ১৯৮১ থেকে ৮৬ পর্যন্ত খেলেন বাদল রায়। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেন ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। মোহামেডানের হয়ে পাঁচবার লিগ শিরোপাও জিতেন তিনি।
একসময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বাদল রায় বর্তমানে বর্তমানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালে পান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।
বাদল রায় ৮০’র দশকে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে খেলেছেন। জাতীয় দলেও ছিল সমান আধিপত্য। ছিলেন অধিনায়কও। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সংগঠক হিসবে সুনাম কুড়িয়েছেন। প্রিয় ক্লাব মোহামেডানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করার পর টানা তিনবার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে সহ-সভাপতি ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কারবপ্রাপ্ত এই সাবেক ফুটবলার ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য