শরণার্থীদের কৃষিশ্রমসহ প্রথাগত কাজে সংযুক্ত করতে হবে

শরণার্থীদের কৃষিশ্রমসহ প্রথাগত কাজে সংযুক্ত করতে হবে

শরণার্থীদের কৃষিশ্রমসহ প্রথাগত কাজে সংযুক্ত করতে হবে

আপিন যখন ভালো কাজ করবেন, তখন আপনার সমালোচনা হবে। যখন আপনি চরম খারাপ কাজটা করবেন, তখন কেউ আপনার সমালোচনা করার সাহস পাবেনা। 

তবে ভালো মানুষ হিসেবে তবুও আপনাকে ভালো কাজটি করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সমালোচকদের আশকারা দেওয়ার কোন দরকার নেই।  
স্মরণ করুন, রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়ে তাদের অনেক লোক নির্মূল করেছে বার্মিজ সামরিক বাহিনী। তারপর ধর্ষণ করে, আগুনে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে এবং পিটিয়ে তাদের বের করে দিয়েছে মিয়ানমার।

বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব রোহিঙ্গাদের নিয়ে কি করতে হবে, কি করতে হবেনা; এই নিয়ে অবিরাম নসিহত করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। অথচ মিয়ানমারের ঐ মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে তাদের কোন রা নেই। এগুলো একারণে হচ্ছে যে, এগুলো চালায় তথাকথিত এনজিওরা। এরা কখনোই সত্য দেখেনা। এরা দেখে মিথ্যা এবং অর্থ। এদের কোন বয়ানকে তাই পাত্তা দেওয়া যাবেনা। 

আমরা এককভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দেওয়া দেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ হয়েও আমরাই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার সাহস ও উদারতা দেখিয়েছি। 

অথচ বাকী পৃথিবীর বহুদেশে বহু বিরাণভূমি পড়ে থাকলেও তারা এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়নি। প্রতিবেশী অন্যদেশগুলো সেভাবে দেয়নি। 
যারা একাজ করার সাহস রাখেনি, তাদের বয়ানকে আমলে না নিয়ে আমাদের নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে শরণার্থী ম্যানেজ করতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো এক অঞ্চলে জড়ো করে না রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হবে। 

তাদের কৃষিশ্রমসহ প্রথাগত কিছু কাজে সংযুক্ত করতে হবে। তাদের অবিরাম মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। না হলে এসব শরণার্থীদের নিয়ে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।

ফেসবুক স্ট্যাটাস লিঙ্ক : Md Golam Sarwar
লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট 

পাঠকের মন্তব্য