Projonmokantho Readers Forum - প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম

প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম এর গঠনতন্ত্র : এবার কন্ঠে কন্ঠ মিলাও যে কন্ঠ আপনার তার নাম প্রজন্মকন্ঠ। প্রজন্মকন্ঠ কেবল নিউজ মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এগিয়ে চলার আর থেকে ঘেমে না যাওয়ার সকলপ্রকার অন্যায়ের প্রতিবাদীকন্ঠ প্রজন্মকন্ঠ। প্রজন্মকন্ঠ এর বিপুল পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষী তথা তরুণ সমাজ এ পথচলার মূল শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রজন্মকন্ঠের পাঠক মানে সমাজের শিক্ষিত-সচেতন গোষ্ঠী। এই দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যারা কর্তব্য ও দায়িত্বশীল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত তরুন সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে নির্মূল হবেই রাষ্ট্রের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অসামাজিক কার্যকলাপসহ মরণ নেশা ইয়াবা, মাদক চোরাচালান। সকল জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ নিজেকে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। উদ্বুদ্ধ হতে পারে দেশপ্রেমে ও মানবসেবায়। প্রজন্মকন্ঠ মিডিয়া পরিবার এই লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি মানুষের ভেতরের শুভবোধটুকু জাগিয়ে তুলতে চায়, মনে করিয়ে দিতে চায়- মানুষ মানুষের জন্য, মানুষ কল্যাণের জন্য। "প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম" একটি সমাজ পরিবর্তনের নাম। প্রাথমিক প্রতিপাদ্য : ১. 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' সংগঠনের শ্লোগান 'এবার কন্ঠে কন্ঠ মিলাও যে কন্ঠ আপনার তার নাম প্রজন্মকন্ঠ'। ২. গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের নাম হবে 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম'। ৩. সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হবে প্রজন্মকন্ঠ গাজীপুর কার্যালয়। ৪. সংগঠনের যেকোনো বিষয়ে প্রজন্মকন্ঠ'র সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। ৫. বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রজন্মকন্ঠ সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিমার্জনা করতে পারবে। ৬. সারা দেশের 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' সংগঠনগুলো পরিচালনার জন্য প্রজন্মকন্ঠ দুই বছর মেয়াদের একটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে। ৭. প্রজন্মকন্ঠ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রদবদল করতে পারবে। ৮. প্রতিটি জেলা কমিটির সভাপতি পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বিবেচিত হবেন। ৯. প্রজন্মকন্ঠ প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা বা যেকোনো কমিটির অন্য কোনো সদস্যকেও কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে। ১০. দুই বছর পরপর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি : ১. দেশের প্রতিটি উপজেলায় 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' কমিটি গঠন হবে। ২. প্রাথমিক অবস্থায় একজনকে আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির সর্বোচ্চ সদস্যসংখ্যা হবে ১২ জন। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের তিন মাস পর এর সদস্যদের কর্মতৎপরতা ও উদ্দীপনার ওপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে। ৩. সংগঠনের সব কার্যনির্বাহী কমিটি দুই বছরের জন্য গঠন করা হবে। ৪. কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বোচ্চ সদস্যসংখ্যা হবে ২১ জন । জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয় সংগঠনের পদ বিন্যাস হবে নিুরূপ: একজন সভাপতি সর্বোচ্চ পাঁচ জন সহসভাপতি একজন সাধারণ সম্পাদক সর্বোচ্চ দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একজন সাংগঠনিক সম্পাদক একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একজন অর্থ সম্পাদক একজন দপ্তর সম্পাদক একজন সাহিত্য সম্পাদক একজন প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক একজন সাংস্কৃতিক সম্পাদক একজন ক্রীড়া সম্পাদক একজন সমাজকল্যাণ সম্পাদক একজন নারী বিষয়ক সম্পাদক একজন পরিবেশ সম্পাদক একজন শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক থাকবে। ৫. এছাড়া পাঁচজন কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভূত হবেন। ৬. কমিটিতে অন্তত এক-চতুর্থাংশ নারীসদস্য অন্তর্ভূক্ত করাকে উৎসাহিত করা হবে। ৭. কমিটির কোনো সদস্য একই পদে দুই বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ৮. কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রতি মাসে অন্তত একটি বৈঠক করতে হবে। বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করতে হবে। ৯. সংগত কারণ ছাড়া কেউ তিন মাস অনুপস্থিত থাকলে তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য থাকতে পারবেন না। ১০. দুই বছরের মেয়াদ শেষে 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অথবা প্রয়োজনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। ১১. নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অন্তত এক-তৃতীয়াংশ পদে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ১২. প্রজন্মকন্ঠ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নিজস্ব প্রতিবেদক বা জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি যথাক্রমে জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' কার্যনির্বাহী কমিটির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। ১৩. প্রয়োজনে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নিজস্ব প্রতিবেদক অথবা জেলা প্রতিনিধির সুপারিশে ও তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বা কলেজ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা যাবে। নিজস্ব প্রতিবেদক বা জেলা প্রতিনিধি সেই সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। একইভাবে উপজেলা প্রতিনিধির সুপারিশে ও তত্ত্বাবধানে স্থানীয় কলেজ পর্যায়েও কমিটি গঠন করা যাবে এবং উপজেলা প্রতিনিধি তার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। ১৪. প্রজন্মকন্ঠ আঞ্চলিক প্রতিনিধি ছাড়া আরও সর্বোচ্চ পাঁচজন বিশিষ্ট স্থানীয় ব্যক্তি কমিটির উপদেষ্টা হতে পারবেন। সাধারণ সদস্য : ১. প্রজন্মকন্ঠ'র যেকোনো পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। ২. অন্য কোনো অনলাইন নিউজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। ৩. সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কেউ সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। ৪. কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। সংগঠনের করণীয় : ১. সংগঠনের সাধারণ ব্যয় 'প্রজন্মকন্ঠ পাঠক ফোরাম' সদস্যদের দেওয়া নুন্যতম মাসিক চাঁদার ভিত্তিতে নির্বাহ করা হবে। ২. বিশেষ ব্যয় নির্বাহ করার জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান নেওয়া যাবে। তবে অবশ্যই তার বিনিময়ে রসিদ দিতে হবে। ৩. অনুদানের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকার বেশি হলে তা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে জানাতে হবে। ৪. সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে কোনো প্রতিষ্ঠান সহায়তা করতে বা যুক্ত হতে চাইলে তা বিভাগীয় সম্পাদক'কে জানাতে হবে। ৫. সংগঠন দেয়াল পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা অন্যান্য প্রকাশনা, সংগীতানুষ্ঠান, নাটক, আবৃত্তি ইত্যাদি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। ৬. সংগঠন বৃক্ষরোপণ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বন্যার্ত, শীতার্ত, দুর্গত মানুষের সহায়তা দান ইত্যাদি সামাজিক ও মানব সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। ৭. সংগঠন বইপড়া কর্মসূচি, বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞান, সেমিনার ইত্যাদি শিক্ষামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। ৮. সংগঠন ইংরেজি শেখা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, লেখাজোখা, আবৃত্তি, সংগীত, নাটক, নৃত্য, ছবি আঁকা, চলচ্চিত্র ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে পারবে। ৯. সংগঠন স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, নববর্ষ, বিজয় দিবস ইত্যাদি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস, নারী দিবস ইত্যাদি আন্তর্জাতিক দিবস পালন করবে। ১০. সংগঠন বিভিন্ন ভাবমূর্তিসম্পন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। ১১. সংগঠন এসিড-সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমসহ প্রজন্মকন্ঠ'র বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করবে। ১২. 'এবার কন্ঠে কন্ঠ মিলাও যে কন্ঠ আপনার তার নাম প্রজন্মকন্ঠ' এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। সংগঠনের বর্জনীয় : ১. কমিটিকে না জানিয়ে সংগঠনের কোনো সদস্য কোনো অনুদান নিতে পারবেন না। ২. প্রজন্মকন্ঠ'র ঘোষিত নীতির বিরুদ্ধে যায় বা এর সুনাম ক্ষুণ হয়, এমন কোনো কাজ সংগঠন করতে পারবে না। ৩. সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোনো কাজ করতে পারবে না। ৪. কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত লাগে, এমন কোনো কাজ সংগঠন করতে পারবে না। ৫. সংগঠনকে কোনো সদস্য ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন না।