ভূরুঙ্গামারীতে স্কুল ছাত্রের উপর পিলার ব্যবসায়ীদের হামলা

হামলাকারীদের পিস্তল ও হামলায় শিকার হওয়া মুন্নাফ

হামলাকারীদের পিস্তল ও হামলায় শিকার হওয়া মুন্নাফ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের চর সতিপুরী গ্রামের মোঃ মুন্নাফ মিয়া নামের এক স্কুল ছাত্রের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) মোঃ বেলাল হোসেনের ছেলে মোঃ মুন্নাফ মিয়াকে রাতে ৫ জন অসাধু ব্যবসায়ী মুন্নাফকে ছুরি ও পিস্তল ঠেকায়। বয়স কম হওয়ায় কি করবেন তা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেন নি। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার মুখ চেপে ধরে। তবে চিৎকার করার সুযোগ পাওয়ায় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। প্রতিবেশীদের আগমনী বার্তা পেয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

তবে চার (৪) জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও চট্রগ্রামের একজন নিজেকে আড়াল করতে পারেননি। ধানের ক্ষেতে লুকিয়ে থাকায় মুন্নাফের চাচা ফজর আলী ওই হামলাকারীকে আটক করে ফেলে।আর সেখানেই পাওয়া যায় একটি পিস্তল ও একটি ছুরি।

কিন্তু কেন হঠাৎ মুন্নাফের উপর হামলা হল ?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্নাফের ফুফু মোছাঃ বেলি বেগমের স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম পিলারের ব্যবসায় জড়িত।ঢাকা থেকে স্বামীর নির্দেশে বেলি ওই হামলাকারীদের সাথে পিলারের ব্যবসায়ার চুক্তি করেন। ওই ব্যবসায়ী বেলির সাথে যোগাযোগ করে গন্তব্যে পৌঁছান এবং বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় বিনা মূল্যে ব্যবসায়ী কার্যক্রম হাছিল করতে চায়। কিন্তু মুন্নাফের উপস্থিতে তাদের সমস্যা হবে বলে মুন্নাফের উপর হামলা চালায়।

মুন্নাফ বলেন, মা-বাবার সাথে আমি নানুর বাড়িরতে যায় আর ফিরে এশার আজানের একটি আগে। বাড়িতে এসে আমি দাদির রুমে যাই এবং মোবাইলে ছবি দেখি। কিন্তু হঠাৎ করে ৫ জন এসে আমার উপর হামলা চালায়।মুখ চেপে ধরে, মাথায় পিস্তল ঠেকায়, পেটে ধারালো ছুরি ধরেন। আমি ভয়ে চিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে আসলে আমায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

ঘটনা শুনে পুলিশ এসে অসাধু ব্যবসায়ী ও মুন্নাফের ফুফু বেলি বেগমকে গ্রেফতার করে। তবে এই ঘটনার আড়ালেও অন্য কোন ঘটনা লুকিয়ে আছে কিনা সেটা জানতে সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

 

   


পাঠকের মন্তব্য