বিদ্যালয় মেরামতের কাজ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে চড় থাপ্পড়

ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান সামিউল ইসলাম

ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান সামিউল ইসলাম

অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে

জামালপুরের মাদারগঞ্জের পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামতের কাজের দায়িত্ব না দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলামকে চড় থাপ্পড় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির ২ সদস্যের বিরুদ্ধে। 

অভিযুক্তরা হলেন ম্যানেজিং কমিটির অবিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জলিল ও আতাউর রহমান বাদল। মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। একজন শিক্ষকের উপর এমন ন্যক্কার জনক হামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেছেন ম্যানেজিং কমিচির অন্যান্য সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তারা বলেন তর্কবিতর্ক হয়েছে। কিন্তু চড় থাপ্পড় মারা হয়নি। জানা গেছে, বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামতের কাজ নিজেরা করতে অভিযুক্ত ওই ২ সদস্যরা কয়েকদিন থেকেই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সামিউল ইসলামকে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু এতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। 

মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে কাজের জন্য ৬ জন শ্রমিক আসলে ঘটনার সময় অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য জলিল ও বাদল শ্রমিকদের ধমকিয়ে তাঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম তাতে বাধা দেওয়ার দেয়। এসময় অভিযুক্তরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জলিল তাকে চড় থাপ্পর মেরে লাঞ্ছিত করেন। 

ঘটনার পর ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক ৯৯৯ ফোন দিলে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন। 

এসময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির ওই ২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যদের কাউকে তোয়াক্কা করেন না তারা। পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসী মনোভাব পোষণ করে সবসময়। আমার উপর হামলার আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম বিএসএসি বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের হামলা আমরা এটি কিছুতেই মেনে নিবো না। ঘটনাটিতে আমরা মর্মাহত। এর উপযুক্ত বিচার কামনা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, ঘটনাটি ওই ভুক্তভোগী শিক্ষক আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। 

থানায় লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দিয়েছি। তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জামালপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারি ইভা বলেন,আমি ওই বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলেছি। ঘটনাটি দুঃখজনক। অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সভাপতিকে নির্দেশনা প্রদান করেছি। মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য