বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে উড়ছে না জাতীয় পতাকা

ঠাকুরগাঁও সদর সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয়

ঠাকুরগাঁও সদর সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয়

ঠাকুরগাঁও সদর সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে উড়তে দেখা যায়না জাতীয় পতাকা এ সকল প্রতিষ্ঠানে পতাকার নির্ধারিত পতাকা বেদি থাকলেও, তা কর্মদিবসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।

বুধবার, ঠাকুরগাঁও সদর সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যাল জগন্নাথপুর (হাজির মোড়ের পূর্ব পার্শ্বে) সরজমিন ঘুরে দেখা যায় একাধিক কর্মদিবসে ঠাকুরগাঁও সদর সহকারী বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। এ সকল দপ্তরে পতাকা উত্তোলনের জাতীয় পতাকা দন্দ বেধি থাকলেও তাতে অফিস চলাকালীন সময়ে জাতীয় পতাকা দেখা যায়নি।

নাগরিকরা বলছেন এটি স্পষ্ট রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ ও জাতীয় পতাকাকে অবমননা করা।

সরকারি বিধিমালা থেকে জানা যায়, ১৯৭২ সালে জাতীয় পতাকা বিধিমালা তৈরি করা হয়। যা ২০২১ সালে সংশোধন করা হয়। ফ্লাগ রুলস ৬.১ ধারায় বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সকল কর্মদিবসে পতাকা উত্তোলন করা হবে।

স্থানিয়রা জানান,শেষ কবে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেছি এখানে তা বলা সম্ভব না, তবে তিন মাস হবে প্রায় এখানে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়না। পতাকা সম্মানের সাথে উত্তোলন করার জন্য বলা হয়েছে,পতাকা বাঁধার জন্য বলা হয়নি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা, এ বিষয়টি ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তাদের যথাযথ শাস্তি হওয়া দরকার। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সফিউল আলম মন্ডল বলেন,অফিস স্টাপের একটু গাফিলাতি আছে আর আমারো একটু  অসচেতনতার কারনে এমনটা হয়েছে। এখানে বাঁশ ছিলো, ঝরে  বাঁশটি গাছ পরে  ভেঙ্গে গেছিলো তারপরে আর বাঁশ লাগানো হয়ানি। তবে খুব শিগ্রই জাতীয় পতাকা লাগানোর কথা জানালেন এই কর্র্মকর্তা। 

 এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, একটা ছোট্ট বাচ্চাও এ দায়িত্বের কথা জানে তবে সে এটা হয়তোবা ভুলে করেছে এমনটা হলে আমরা তাকে সতর্ক করে দিবো।

 

   


পাঠকের মন্তব্য