কুতুবদিয়ার সুমিকে হত্যা নাকি সুমির আত্মহত্যা !  

কুতুবদিয়ার গৃহবধূ সুমি আক্তার

কুতুবদিয়ার গৃহবধূ সুমি আক্তার

কুতুবদিয়ার গৃহবধূ সুমি আক্তার আত্মহত্যা করেন নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। নিহতের মা তৈয়বা বেগম বলেন, তার ( সুমি আক্তার) মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে খবর দিয়েছেন। পরে, পুলিশ এবং আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খোলে ভিতরে প্রবেশ করি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায়। কারণ কানের নিচে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আমি চাই আমার মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। যদি আত্মহত্যা করতো এভাবে হতো না। তাকে নির্যাতন করে মারধর করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি তার।

নিহতের বাবা ইসলাম বলেন, আমার ( সুমি আক্তার)  মেয়েকে হত্যা করে তারা কোন ধারণের সমাধান চাই। অপরাধীকে রক্ষা করার জন্য অনেক নেতাই জোরেসোরে চেষ্টায় করছে। অনেকেই ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন। ঘটনার দিনও সুমি আক্তার তার শাশুড়ী ও স্বামী হেফাজ উদ্দীনের সাথে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানান তিনি। 

এবিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বলতে পারবো না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি)  রাত ১০ টায় কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছাদের ঘোনা এলাকায় স্বামী হেফাজ উদ্দীনের ঘরে নিহত গৃহবধূ সুমি আক্তারের (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে। 

   


পাঠকের মন্তব্য