শৈত্যপ্রবাহে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে বোরো আবাদের ক্ষয়ক্ষতি  

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় পাইকগাছা

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় পাইকগাছা

তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় পাইকগাছা উপজেলার একমাত্র বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের বোরো বীজতলা ও রোপনকৃত চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শৈত প্রবাহের কারণে চাষকার্যে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার একমাত্র বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামার ঘুরে দেখা গেছে, বীজতলা হলুদ রঙের হয়ে গেছে। কোথাও লালছে রং ধারণ করেছে।
 
ধানের চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কুয়াশায় বীজতলার ঠান্ডা পানি জমে চারা মরে যাচ্ছে। আর যে অংশটুকু ভালো, সেখানে চারা বড় হচ্ছে না।’ হটাৎ করে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা শুরু হওয়ায় কৃষি কাজে ব্যাহত হচ্ছে । বীজতলা ও রোপনকৃত ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খামারে ব্রি ধান ৬৭ এর রোপনকৃত প্রায় ৮ বিঘা জমির চারা ও ব্রি ধান ৫০ এর অঙ্কুরকৃত বীজ বপণের পরেই শৈত প্রবাহ শুরু হয়। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় থাকায় সূর্যের আলো না পাওয়ায় এমনটি হয়েছে।

বীজ তলায় ঠিক মত চারা তৈরি না হলে এবার লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কিত খামারী কর্তৃপক্ষ। এমন আবহাওয়া যদি আরও কয়েক দিন থাকে, তাহলে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। চাষের মৌসুমে চারা নাও পাওয়া যেতে পারে।’ এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারি পরিচালক নাহিদুল ইসলাম দৈনিক জন্মভূমি ও প্রজন্মকন্ঠের এ প্রতিনিধিকে বলেন, খামারে প্রায় ৮ বিঘা জমির ব্রি ধান ৬৭ এর রোপ কৃত চারা ও ব্রি ধান ৫০ এর বীজ তলা তৈরির পরই তীব্র শীত ঘন কুয়াশা শুরু হয়। এতে সূর্যের আলো না পাওয়া, চারা খাদ্য তৈরি ও শিকড় বাড়তে পারছে না। 

বীজ তলা ও রোপনকৃত চারা লালছে রং হয়ে মরে যাচ্ছে। প্রতিদিন বীজ তলার পানি বদল ও কুয়াশার পানি চারার পাতা থেকে ফেলে দিয়ে পরিচর্যা করা হচ্ছে তবুও চারার কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে রোপনকৃত চারা ও বীজতলা ভালো করার জন্য ঔষধসহ সব ধরণের পরিচর্যা ও চেস্টা অব্যহত রয়েছে।

তবে প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা করে রোদ পাওয়া গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

   


পাঠকের মন্তব্য