শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের শতভাগ নির্ভেজাল মিথ্যা বয়ানে আমি বিষ্মিত ! 

প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমান

প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমান

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রোকনুজ্জামান রোকনের শিক্ষক পেটানোর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপির ওই নেতার নাম মো. মাসুদ রানা। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহছাত্রবিষয়ক সম্পাদক। এক শিক্ষার্থীর নামে একাধিক ভর্তির আবেদন বাতিল করার ঘটনায় বিএনপি নেতা মাসুদ রানা কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবদুল হাই সিদ্দিকীকে (৫৩) পিটিয়েছেন বলে থানায় করা অভিযোগে বলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই সামাজিক গণমাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে সেই ছবিটি ইতিমধ্যে ফোলাও করে প্রচারিত হয়েছে। যে ছবিটিতে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমান তাঁর ফেসবুক আইডিতে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন, কুড়িগ্রাম সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অভিভাবক এবং শিক্ষকের মধ্যকার ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ঘটনা সম্পর্কে কুড়িগ্রাম সদর থানায় দাখিলকৃত সাধারন ডায়রীতে আমার নাম দেয়াতে আমি যতটুকু বিচলিত হইনি; তার চেয়ে অধিক থেকে অধিকতর বিচলিত এবং বিষ্মিত হয়েছি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের শতভাগ নির্ভেজাল মিথ্যা বয়ান নিয়ে।

প্রজন্মকণ্ঠের পাঠকের জন্য  ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমানের স্ট্যাটাসটি হুবহু  তুলে ধরা হলো- 

কুড়িগ্রাম সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অভিভাবক এবং শিক্ষকের মধ্যকার ঘটে যাওয়া অনভিপ্রেত ঘটনা সম্পর্কে কুড়িগ্রাম সদর থানায় দাখিলকৃত সাধারন ডায়রীতে আমার নাম দেয়াতে আমি যতটুকু বিচলিত হইনি; তার চেয়ে অধিক থেকে অধিকতর বিচলিত এবং বিষ্মিত হয়েছি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের শতভাগ নির্ভেজাল মিথ্যা বয়ান নিয়ে।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দকী এবং সম্মানিত অভিভাবক মাসুদ রানার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় চলাকালীন সময় অনেকর মতো সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তাদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় যেন হাতাহাতি পর্যন্ত না গড়ায় সেই জন্য আমি দুই জনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করি। এই চেষ্টায় সফলও হই। পরক্ষনই বিদ্যালয়ের সকল শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক দলবদ্ধ হয়ে সম্মানিত অভিভাবক মাসুদ রানাকে যাচ্ছেতাই বলে তার দিকে তেড়ে আসে। উদ্ভুত পরিস্থিতির আলোকে আমি সম্মানিত অভিভাবক মাসুদ রানাকে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে বের করে বাইরে নিয়ে আসি এবং উনাকে বিদ্যালয় চত্তর ছেড়ে যেতে অনুরোধ করলে উনি চলে যান। ঘটনা এখানেই শেষ। এই ঘটনায় কেউ কারো গায়ে হাত তুলেনি। তবে উভয় উভয়কে হুমকি ধামকি দিয়েছে। 

এঘটনায় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দকী কুড়িগ্রাম সদর থানায় যে সাধারন ডায়রী করেছেন, সেই ডায়রীতে তিনি বলেছেন- এক পর্যায় তারা (বিবাদীগণ) আমাকে কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফুলা জখম করে।

সাধারন ডায়রীর এই বয়ানটুকু শতভাগ নির্জলা মিথ্যা। এমতাবস্থায় সিসিটিভির সম্পুর্ন ভিডিও নিবিড়ভাবে দেখলে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দকী কত বড় মাপের মিথ্যাবাদী তা সবার সামনে দিবালোকের আলোর মতো পরিস্কার হবে।

ফেসবুক স্ট্যাটাস লিঙ্ক - Aminur Aminur Rahman
লেখক,  সাধারণ সম্পাদক- জেলা প্রেসক্লাব, কুড়িগ্রাম এবং 
কার্যকরী সভাপতি, কুড়িগ্রাম জেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন

   


পাঠকের মন্তব্য