ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার করে পাচার; গ্রেপ্তার ২

ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার করে পাচার; গ্রেপ্তার ২ জন  

ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার করে পাচার; গ্রেপ্তার ২ জন  

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। দুই বাংলা ভারত- বাংলাদেশের সম্পদ, দুই বাংলার গর্ব। বাংলাদেশে আবার জাতীয় পশু হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। তার জন্য বিশ্বের বাংলাদেশের সুন্দরবনকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই অভয়ারণ্যেই চোরা শিকারিদের বাড়বড়ন্ত। ছাগলের মাংসে বিষ মিশিয়ে বাঘ শিকার করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, দেশের সুন্দরবন এলাকায় কোথায় কোথায় বাঘের বিচরণ, সেই খবর এই চোরাশিকারীদের কাছে থাকে। সেই সমস্ত জায়গায় বিষ মেশানো ছাগলের মাংস রেখে আসা হয়। বিষাক্ত মাংস খেয়ে মৃত্যু হয় বাঘের। তারপরই মৃত বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে আসা হয়। পরে তা পাচার করা হয়। বহুদিন ধরেই বাংলাদেশের সুন্দরবনে সক্রিয় এই পাচার চক্র। সম্প্রতি এদের মধ্যে দু’জনকে আটক করেছে এলিট বাহিনীর ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- ব়্যাব।
 
আটক দুই চোরাশিকারীর নাম মো. হাফিজুর শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ। তাদের বাড়ি সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ধলপাড়া গ্রামে। 
গোপন সূত্রে ব়্যাব গোয়েন্দা এই বাঘ শিকারের চক্রটির সম্পর্কে তথ্য পায়। পরে বাঘের চামড়া ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রেতা সেজে তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বাঘের চামড়া লবণ মাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

জানা যাচ্ছে, গত ২৭ জানুয়ারি আটকদের শ্যামনগর উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন থেকে বাঘটি শিকার করেছিল। পরে এমন ক্রেতা খুঁজছিল যারা কোটি টাকার বিনিময়ে বাঘের চামড়া কিনবে। ব়্যাব জানায়, যারা এসব বাঘের চামড়া কেনে তারাও নজরদারিতে রয়েছে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোরাশিকারিরা জানায়, তারা মাছ ও গোলপাতা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ করে বাঘ শিকার করত। সুযোগ বুঝে বনের অন্যান্য প্রাণীও শিকার করত। 

কীভাবে এই চক্রের সঙ্গে ধৃতরা যুক্ত হল তা জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে এর আগে হাবিব তালুকদার তথা ‘বাঘ হাবিব’ নামে বন বিভাগের তালিকাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২০ বছরে অন্তত ৭০টি বাঘ মেরেছে সে। হাবিবের নামে ৯টি মামলা আছে।

   


পাঠকের মন্তব্য