রিক্সা চালক হায়দারের পাশে ডিসি কামরুল আহসান

জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ

জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ

পরিবারের একমাত্র উপার্জনের একমাত্র মাধ্যমটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমার মতো হতদরিদ্র মানুষের পাশে আর কেউ হয়তো সাহায্যের হাত দিয়ে দাঁড়াবেনা। অনেকের কাছে ধরনা ধরেছি কিছু অর্থ সহায়তার জন্য।

অবশেষে ডিসি স্যার আমার এই পাঁচ সদস্যের পরিবারের পাশের অবতরের মতো এসে দাঁড়িয়েছেন। মহান আল্লাহরকাছে তার জন্য দোয়া করি তিনি যেন সুখে শান্তিতে থাকেন । আর আমার মতো অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত নিয়ে দাঁড়াতে পারেন।

কথা গুলো বলছিলেন ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার আলীয়াবাদের বিলমামুদপুরের রিক্সচালক হায়দার আলী ফকির । তার পরিবারের রয়েছেন স্ত্রী লিলি বেগন, তিন পুত্র রাহাত ফকির, রেজাউল ফকির এই দুইজনেই হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স করছে এবং ছোট ছেলে রফিকুল ফকির এসএসসি পরিক্ষার্থী।

রিক্সা চালক হায়দার গত একমাস আগে শহর থেকে ভাড়া নিয়ে যান সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে। সেখানে রিক্সা রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে হারায় তার একমাত্র উপার্যনের মাধ্যমটি। এর পর দরিদ্র সংসারের দৈনন্দিন খরচ যোগাতো হাত পাততে শুরু করেন বিভিন্ন জায়গায়। তাতে তিনি তেমন সাড়া পাচ্ছিলেন না। তার এই সমস্যার কথা সুযোগ করে একদিন জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালীর কাছে। তিনি পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসকের গণশুনানীতে বিষয়টি উপস্থাপনের। জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার সমস্যার কথা শুনে তার চাহিদার একটি রিক্সার ব্যবস্থা করে দেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে রিক্সা চালক হায়দারের হাতে তুলে দেন একটি নতুন রিক্সা। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আসলাম মোল্রা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)  লিটন আলীসহ হায়দারের পরিবারের সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক বলেন, একটি রিক্সার অভাবে ওই পরিবারের দৈনন্দিন খরচের পাশাপাশি ছেলেদের লেখা পড়ার সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর আমরা তার দিকে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, সমাজের বিত্তবানরা একটু আন্তরিক হলে জাতীয় সমস্যা থাকে না। আমি আহবান জানাই তাদের, যাদের সামর্থ রয়েছে তারা যেন অসহায়ের পাশে এসে দাড়ায়। তাহলে আমরা সমাজটাকে এগিয়ে নিতে পারবো।

   


পাঠকের মন্তব্য