পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুনী

মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার

মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার

অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। অবশেষে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের  দাসপাড়া ইউনিয়নের ইমরান হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়ান তরুনী নিকি উল ফিয়ার।

ইতিপূর্বে ২০১৭ সালে প্রেমের টানে  পটুয়াখালীর বাউফলে ছুটে এসেছিলেন নিকি। কিন্ত্য তখন আইনত বিয়ের বয়স না হওয়ায় হতাশ হয়ে আবারও আশায় বুক বেধে নিজ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চলে যান তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী তাদের বিবাহের বয়স হলে আবারও প্রেমিক ইমরান ও নিকির পরিবারের সম্মতিতে পটুয়াখালী আসেন নিকি।দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে তাদের ভালোবাসাকে পূর্নতা দিতে  গত পহেলা মার্চ বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান।

প্রতীক্ষার প্রহর কাটিয়ে ভালোবাসার মানুষকে জীবন সাথী করতে পেরে খুশি ইমরান। এই যুগলের বিয়ে পড়ান স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম। এতে আজ বৃহস্পতিবার তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল দুপুরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সামনে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ের সম্মতি দেন নিকি। এরপর আইনজীবীর সহযোগিতায় বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়।

বাউফলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বর্তমানে তার বয়স ২৫ বছর। আর নিকি উল ফিয়ার বয়স ২৩ বছর। নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতো ও শ্রী-আনি দম্পত্তির কন্যা।

   


পাঠকের মন্তব্য