হরিদেবপুরে মসজিদের জমি নিয়ে সংঘর্ষ; আহত ৯ জন

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়ন

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়ন

রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ফকিরান এলাকায় মসজিদের জমি দখল নিয়ে নতুন ও পুরাতন দুই মসজিদ কমিটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশসহ রিজার্ভ ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স সেখানে অবস্থান করছে। বিষয়টি গুরুতর বিবেচনায় ওই এলাকায় শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও বিরোধ নিরসন কল্পে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে কোতয়ালী থানায় একটি সমাধান সভা হয়েছে। এতে দুই মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষ নিজের আহতদের চিকিৎসা করবে, থানায় কোন পক্ষ মামলা করবে না, বিরোধপূর্ণ জমিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সিভিল কোর্টের রায়ের পর যে পক্ষ রায় পাবে সেই পক্ষ জমির দখল নেবেন মর্মে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুলতানা রাজিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), নাছিমা জামান ববি উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নুর নাহার বেগম, কোতয়ালী থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার, ওসি তদন্ত শাহীন আলম, হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মোজহার, হরিদেবপুর ফকিরান বালা পাড়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক লিটন, হরিদেবপুর ফকিরান কেরানী পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি আজগর আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুরসহ উভয়পক্ষের অনেকে। জানা গেছে, ফকিরান মৌজায় একটি মসজিদেরস্থলে দুটি মসজিদ রয়েছে। 

চূড়ান্ত আর এস মাঠ জরিপে একটি সমজিদের নাম বালাপাড়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসা অন্যটি কেরানী পাড়া জামে মসজিদ ও মাদরাসা উল্লেখ রয়েছে। মসজিদ দুটির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। কেরানী পাড়া জামে মসজিদ ও মাদরাসার নামে সাতটি দাগে ১.৬১ একর জমি এবং বালাপাড়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদরাসার নামে ১.৭৩ একর জমি চূড়ান্তভাবে আর এস মাঠ জরিপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। 

সম্প্রতি ফকিরান বালা পাড়া জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ১.৫৫ শতক জমিতে কোর্টের নির্দেশনায় সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জমিটি চাষ দেয়ার সময় উভয় মসজিদ কমিটির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।  

কোতয়ালী থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার জানান, সকালে সংঘর্ষের সংবাদ পাওয়ার পর আমি ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। পুলিশী তৎপরতায় উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, আমরা উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি। আশা করি এরপর উভয় পক্ষ আর শান্তি ভঙ্গের কোন কর্মকান্ড করবে না। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে পুলিশ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 

   


পাঠকের মন্তব্য