অপকর্ম মীমাংসার টানাপোড়েনে চিত্রনায়ক শাকিব খান ! 

চিত্রনায়ক শাকিব খান

চিত্রনায়ক শাকিব খান

মিলি সুলতানা : মহামতি শাকিব খান এবার তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি সঠিক তথ্য দিয়েছি ! আজ থেকে ঠিক পাঁচমাস আগে ঢাকাই সিনেমার নাম্বার ওয়ান তকমা পাওয়া তারকার অপকর্ম নিয়ে আমি লিখেছিলাম। কিন্তু নির্বোধ ভক্তকূলের জন্য আফসোস হয়। তারা আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী প্রতিবাদ করেছে। 

জনাব খানের নাদান ভক্তরা প্রলয়ের ভয়ে কাকের মত চোখ বন্ধ করে আছে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের যে অভিনেতা সর্বোচ্চ আলুর দোষে দুষ্ট জনাব খান। আলুর রাজা শাকিব রুমানা খানের সাথেও খেলেছেন। টিভি অভিনেত্রী ও মডেল সেই রুমানা। যিনি রূপালী পর্দায় অভিনয়ের স্বপ্ন দেখেছেন। ভাগ্যক্রমে রুমানার ভাগ্যে জুটে যায় এক টাকার বউ নামের একটি ছবি। এই ছবিতে তাকে দুই নায়িকার (অন্য নায়িকা ছিলেন শাবনূর) এক নায়িকার রোলে ব্রেক দিতে শাকিব হস্তক্ষেপ করেন। বিনিময়ে রুমানাকে একটা কাজ করে দিতে হবে -- স্বঘোষিত কিং খানের ভোজন সামগ্রী হতে হবে। 

রুমানার কাছে "নেভার মাইন্ড" ব্যাপার ছিল। শাকিবের সাথে চলতে লাগলো রুমানার উদ্দাম মেলামেশা। শাকিবের সুপারিশে সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান রুমানা। তিনি নিজেকে শতভাগ ইনভেস্ট করলেন শাকিবের কাছে। কিন্তু ল্যাংড়া ঘোড়ার মত আড়াইঘরের বেশি দৌড়াতে পারেনি রুমানার রুপালী পর্দার ক্যারিয়ার। সেই রুমানার বহু মাঠঘাটে বিহার শেষে নিউইয়র্কে থিতু হলেন। খান সাহেব একদিন ভরপুর নেশা করেছিলেন। তার রুমের টিভি স্ক্রিন অন করা ছিল। বুবলি তখন বাংলাভিশনে নিউজ পড়ছিলেন। খান সাহেবের চোখ যায় বুবলির উপর। বুবলির ফোন নাম্বার করে ফেললেন মুহূর্তে। 

নক করলেন, নায়কের ফোন পেয়ে বুবলি তো লুতুপুতু হয়ে পড়লেন। নায়ক তাকে অফার দিলেন বুবলি সিনেমায় অভিনয় করতে চান কিনা। বুবলির পিপাসু  চোখে তখন স্বপ্নজালের ইন্দ্রধনু চকচক করছে। লুফে নিলেন নায়কের অফার। মউজ মাস্তির মধ্যে কমার্শিয়াল প্রেম আর ধ্বংসাত্মক মেলামেশা এগিয়ে চলল। আস্তে আস্তে বুবলির পেট স্ফীত হয়ে ওঠে। অভিয়াসলি তারপরের ফুলস্টপের নাম "আবরারখান বীর"!!  

প্রাচীন কাল থেকে স্বঘোষিত কিং খান যদি এতই পবিত্রতার প্রতীক হন, তবে কেন তিনি প্রযোজক রহমতুল্লাহ সাহেবের সাথে মিটিং সিটিং করেছেন ?এখন তাহলে কি প্রমাণ হল ? এখন প্রমাণ হল শাকিব খান শ্যুটিংয়ের বাহানায় অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে আকাম করেছেন। তিনি পানির মত মদ গিলেন, সেটা তার সহকর্মীদের ভাষ্য। মদ খেয়ে নেশায় চুরচুর হবার পর নাম্বার ওয়ান তারকার অদ্ভুত একটা শখ জাগে। নেশা আর নারী -এ দুটির মত এত চমৎকার কম্বো আর কিসে হয় ?? নারী নিয়ে তার বিচিত্র বিলাসিতার নজির আমেরিকাতেও হয়েছিল। তিনি যখন লম্বা সময় ধরে নিউইয়র্কে অবস্থান করেছিলেন নারী নিয়ে তার স্বভাবসিদ্ধ ভোজনবিলাসের বহু কাহিনী নিউইয়র্কের আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। 

নিউইয়র্কের এক অখ্যাত টিভি অভিনেত্রীর সাথে জুটি বেঁধে সিনেমায় অভিনয় করবেন বলে জাঁকজমকপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। কিন্তু বহু প্রচারের পরেও অজ্ঞাত কারণে সেই ছবি নির্মাণের সম্ভাবনা অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। ভেতরের খবর হচ্ছে, ঢাকাই তারকার নারী বিষয়ক প্রীতিভোজের বদস্বভাব। শাকিব যদি নির্দোষ হতেন তিনি কি অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশি প্রযোজকের সাথে সমঝোতায় বসতেন? মালেক আফসারীর মত ভাঁড় গলা ফাটিয়েছেন স্বঘোষিত কিং খানের পক্ষে দালালি করে।

শাকিবের সমঝোতায় বসার অর্থ কি এই নয় যে তিনি এই অভিযোগ থেকে নিজেকে খালাস করতে চাচ্ছেন ? অপরাধ করেছেন বলেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন, তাইনা ?? রহমতুল্লাহ সাহেবের সাথে বৈঠকে বসার সময় তিনশো টাকার স্ট্যাম্প নিয়ে গিয়েছিলেন কেন ? মালেক আফসারির মত স্থুল ব্যক্তিত্বের মানুষ কত সস্তা কথা বলতে পারলেন সেটাই দেখলাম। কার পক্ষে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন ? শাকিব খানের নোংরামিকে বাহবা দিচ্ছেন আফসারীর মত চাটুকারেরা। আমাদের চলচ্চিত্রের মহীরথী নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, বুলবুল আহমেদ, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম ইলিয়াস কাঞ্চন, মান্নার মত তারকাদের উত্তরসূরি হিসেবে নষ্ট স্বভাবের শাকিব খানের নাম উল্লেখ করা উচিত নয়। 

বোকা ভক্তদের নাম্বার ওয়ান তারকা যদি অপরাধী হতেন, বৈঠক বসার বিষয়টি ইগনোর করতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। কারণ তিনি ভালো করে জানেন অ্যানি সাবমেরিনকে বিধ্বস্ত করার এবং পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি কম্যুনিটির প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় পগারপার হওয়ার কাহিনী আরব্য উপন্যাসের চাইতে কম কিছু নয়। অনেকে বলছেন এতদিন পর আজ কেন এসব বলছেন রহমতুল্লাহ। এইসব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের ভাবা উচিত অস্ট্রেলিয়া থেকে কেউ ঢাকায় জাবর কাটতে যাবেনা। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়েই রহমতুল্লাহ শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। অ্যানি সাবমেরিন ইনোসেন্ট তা আমি বলবো না। শাকিবের সাথে অ্যানির মেলামেশা নিশ্চয়ই তার সম্মতিতে হয়েছিল। কিন্তু বিকৃত পন্থায় পশুর মত জৈবিক ক্ষুধা চরিতার্থ করার জন্য অ্যানি সাবমেরিন নিজের শরীর খুলে মেলে ধরেননি। দেননি বলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। 

পুলিশ খান সাহেবকে ৫/৬ ঘন্টা অন্তরীণ করে রেখেছিল হোটেল কক্ষে। মুখে যত বড় বড় কথা বলেন না কেন, শাকিব ঠিকই জানেন তিনি অপরাধ করেছেন। অপকর্ম মীমাংসার টানাপোড়েনে কতদিন ভুগতে হয় নাম্বার ওয়ান তারকাকে সেটাই দেখার বিষয়।

লেখক : মিলি সুলতানা
পরিচিতি : সুলেখক ও শব্দ চৈতন্যের কারিগর

   


পাঠকের মন্তব্য