গোয়ালন্দে ক্ললেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন  

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ক্লুলেস হত্যা মামলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ক্লুলেস হত্যা মামলা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ২জন আসামী আটকসহ হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত চাকু এব্ং ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলো শিশু হায়াত কাজী (১৭) দৌলতদিয়া শাহাদৎ মেম্বার পাড়া মাদার কাজীর ছেলে।শিশু নিরব শেখ (১৭) দৌলতদিয়া শামছু মাষ্টার পাড়ার শহীদ শেখের ছেলে।

সোমবার ২০ মার্চ সকাল ১১ টার সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার হলরুমে  প্রেস রিলিজ অনুুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬.০৩. ২০২৩ তারিখে দৌলতদিয়ায় মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর  মধ্যে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে জখম করে হত্যা করে বালু এবং ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রাখে।স্থানীয় ভাবে সংবাদ পেয়ে পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে মৃত দেহের সুরতাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের করে মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে বিশ্বস্ত গুপ্তরচর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্তপূর্বক গত ১৮.৩.২৩ তারিখে ভোরে কালু খালী থানার মহেন্দ্র পুরের কামিয়া গ্রামের আহমেদ শেখের বাড়ী হতে ভিকটিম সোহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হায়াত কাজীর পরিধেয় কাপড় চোপড় সহ একটি ব্যাগ জব্দ করা হয় সে সময়

আসামী হায়াত কাজীও আসামী নিরব শেখপুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

গত ১৯.০৩.২০২৩ তারিখে গভীর রাতে কালু খালী হরিনবাড়ীয়া প্রমানিক পাড়া হতে নিরব শেখ ও হায়াত কাজী  কে আটক করা হয়। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। নিরব শেখের দেখানো মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু যার অগ্রভাগ এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করার সময় ভেঙ্গে যায়। নিরবের দাদির বসত ঘরে থেকে  হত্যার হত্যার সময় হায়াতের গায়ে থাকা রক্তদাগ যুক্ত শাট উদ্ধার করা হয়। 

আসামাীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৫ দিন আগে দৌলতদিয়া কে কে এস স্কুলের মাঠে নিরবকে মারপিট করে এবং একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় হায়াত কে চোর ও মাদকসেবী  বলে গালমন্দ করার জের ধরে সোহানকে হত্যার করার পরিকল্পনা করে। 

গত ১৬.০.২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৩. ঘটিকার সময় ভিকটিম সোহান শেখকে যৌনপল্লীর নার্গিসের বাড়ীর সমনে জাহাঙ্গীর দোকানের সমনে থেকে নিরব শেখ ও হায়াত কাজী ডেকে নিয়ে যায় গাঁজা সেবনের কথা বলে। যৌনপল্লীর পাশে থাকা মুক্তি মহিলা সমিতির গেইট প্রচীর টপকিয়ে পার হয়ে ঘটনা স্থানে নিয়ে গিয়ে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে সোহানকে আঘাত করে। নিরবের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে বুকে  আঘাত করলে সোহান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পর নিবর হায়াতসহ অন্যান্যরা এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে মুত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বালু ও ইট দিয়ে চাপা দেয়। 

আটককৃত আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। প্রেস রিলিজ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজবাড়ী জেলা সদর এডিশনাল এসপি মো. ইফতেখারুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার। 

   


পাঠকের মন্তব্য