প্রাণে বাঁচলেন মুন্সিগঞ্জের মৎস্যজীবী ওয়াজেদ গাজি

প্রাণে বাঁচলেন মুন্সিগঞ্জের মৎস্যজীবী ওয়াজেদ গাজি

প্রাণে বাঁচলেন মুন্সিগঞ্জের মৎস্যজীবী ওয়াজেদ গাজি

অনুমতি ছাড়াই সুন্দরবনের দারগাং খালে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সেটাই কাল হল ওয়াজেদ গাজি নামে  এক মৎস্যজীবীর জন্য। পড়লেন বাঘের কবলে। তবে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন তিনি। তবে ব্যাপক আঘাত রয়েছে ঘাড়, পিঠ ও মাথায়।

বিষয়টা ঠিক কী ? উপজেলার ছোটভেটখালীর বাসিন্দা ওয়াজেদ গাজি। তিনি জানান, বাঘটি আক্রমণের সময় ছোট ভাই লিয়াকতের থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে ছিলেন তিনি। তিনি কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ কোনও ওয়াজেদের মাথায় আক্রমণ করে বাঘ। 
 সঙ্গে সঙ্গে লিয়াকত গরানের লাঠি নিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার শুরু করে। 

বাঘটিকে পিছু হঠাতে তার চোখে চোখ রাখে। কারণ, চোখে চোখ রাখলে বাঘ সাধারণত ভয় পায়। ফলে শিকার ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। ভয়ে বাঘটি ওয়াজেদকে ছেড়ে দেয়। তবে ততক্ষণে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই মৎস্যজীবী। কোনওক্রমে আক্রান্তকে নৌকোয় নিয়ে বাড়ি ফেরেন লিয়াকত। বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে যুবকের।

আক্রান্তের ভাই লিয়াকত গাজি জানান, দারগাং খালে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাৎ একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নৌকোর উপরে উঠে পড়ে তাঁর ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে। পালটা ভয় দেখালে সুন্দরবনের দিকে গর্জন করতে করতে পালিয়ে যায় বাঘটি। 

ঘটনাস্থলটি সুন্দরবনের গভীরে এবং সেখানে কোনও নেটওয়ার্ক কাজ না করায় ফিরে আসতে বেশি সময় লেগেছে। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অসীম মৃধা বলেন, “২ যুবকই বাড়িও ফিরেছে।” সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষন (এসিএফ) একেএম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, “ওই মৎস্যজীবীর সুন্দরবনে প্রবেশের বৈধ অনুমতি ছিল না।”

   


পাঠকের মন্তব্য