সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ; আদালতে মামলা

সৈনিক নাসির পারভেজ

সৈনিক নাসির পারভেজ

পটুয়াখালীতে নাসির পারভেজ নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক সৈনিকের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন স্ত্রী দিলারা আক্তার রুনা।

অভিযুক্ত স্বামী নাসির পারভেজ পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মৃতঃ আঃ ছত্তার হাওলাদারের পূত্র। তিনি একজন সেনাসদস্য।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ সালে ধর্মীয় ও আইনীভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পারভেজ-রুনা দম্পত্তি।খুব সুখেই চলছিল তাদের সংসার। বর্তমানে একটি তিন বছর বয়সী কন্যাসন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু বিয়ের কয়েকবছর পরেই স্বামী পারভেজ পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্ত্রী রুনার নিকট। যা দিতে অসম্মতি জানিয়ে পারভেজের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন স্ত্রী রুনা বেগম। যার মামলা নং সি.আর-৯৭৯/২০১৯। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিস-মীমাংসার আশ্বাসে সেই মামলাটি তুলে নেন বাদিনী রুনা। এরপরে ২০২২ সালে আবারও শুরু হয় স্ত্রী রুনার প্রতি স্বামীর নির্যাতন। 

এতে মোকাম ঢাকা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে  আরও একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রুনা। যার পিটিশন নং ৬২/২০২২। এ মামলায় মীমাংসার কথা বলে আবারও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসীতে বসেন উভয়পক্ষ।

কিন্তু আদালতের এজাহারে স্ত্রী রুনা বলেন, শালিসীর দিনেও পারভেজ ও তার পরিবার একজোট হয়ে আবারও যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন এবং আমাকে বাবার বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যায়। 

বার বার চেষ্টা করেও এ ঘটনার আপোষ মীমাংসা করতে না পারায় সম্প্রতি স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে মোকাম পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী দিলারা আক্তার রুনা। যার মামলা নং ৩০২/২৩।

জানা যায়, বর্তমানে এ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী পারভেজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বামী নাসির পারভেজ বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মূলত আমার চাকরিটা শেষ করে দিতেই আমার স্ত্রী এ মামলা করেছে।

   


পাঠকের মন্তব্য