বরগুনায় তরমুজ ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিক্রি

বরগুনায় তরমুজ ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিক্রি

বরগুনায় তরমুজ ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিক্রি

গরমে অনেকের প্রিয় ফল তরমুজ। এটি একই সঙ্গে রসালো ও সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণও অনেক। গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় সুস্বাদু ফল তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এর ৯২ ভাগই পানি, ৬ ভাগ চিনি এবং এতে অন্য উপাদান রয়েছে ২ ভাগ। এটি ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় ফল। তরমুজ সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ওঠে। এটাই তরমুজের প্রধান মৌসুম। 

কিন্তু সম্প্রতি এ দেশের বাজারে এ সময় ছাড়া অন্য সময়েও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ তরমুজ বেশি পাওয়া যায়। এ তরমুজকে অনেকে নাম দিয়েছেন ‘বারোমাসি তরমুজ’। ছোট, লম্বাটে, ডিম্বাকার, কালো খোসা, ভেতরে টকটকে লাল শাঁসের তরমুজগুলো অসময়ে ওঠার কারণে বাজারে চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন।

চলতি মৌসুমে জেলায় উৎপাদিত তরমুজ ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে।

বরগুনা জেলা কৃষি অফিস জানায়, জেলায় এ বছর তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৫১২ হেক্টর। জেলার ৬ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তরমুজ চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে। গত বছরের থেকে চলতি বছর জেলায় ৪ হাজার ৩২৬ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

জেলায় এ বছর মোট তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৩২৫ টন। গত সপ্তাহ পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।

তরমুজ চাষিরা জানান, বৃষ্টির কারণে তেমন ক্ষতির মুখে পড়েননি। তারা পূর্বেও অভিজ্ঞতা দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন কওে তরমুজ ক্ষেত স্বাভাবিক রেখেছেন। এ বছর রৌদ্রের তাপ বেশি থাকায় তরমুজের দাম বেশি ছিল। তাই চাষিরা তরমুজের দাম ভালো পেয়েছেন।

কৃষিবিদ সিএম রেজাউল করিম প্রজন্মকণ্ঠকে জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তরমুজ চাষির ক্ষতি কাটাতে আমরা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছি। সে কারণে তরমুজ চাষিদের তেমন ক্ষতি হয়নি। পাশাপাশি রোজা ও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকায় চাষিরা ভালো দাম পেয়েছেন।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ জোবাইদুল আলম জানান, জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে।

তিনি জানান- জেলায় উৎপাদিত তরমুজের ৯৫ শতাংশ থেকেই ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। বরগুনার তরমুজ সুস্বাদু হওয়ার কারণে চাহিদা বেশি থাকে। তাই চাষিরা বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছে।

   


পাঠকের মন্তব্য