মঞ্চে অসংলগ্ন আচরণের মুখ খুললেন নোবেলের স্ত্রী

নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ

নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ

মঞ্চে মাতলামির কারণে দশর্কদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। ফলে ফের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গাইতে উঠে মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণের কারণে দর্শকের জুতা হজম করতে হয়েছে তাকে।

বিষয়টি চোখে পড়েছে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের। এ প্রসঙ্গে তিনি সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজের প্রতিক্রিয়া। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, নোবেলকে শোধরানোর কম চেষ্টা করেননি তিনি।

শুক্রবার নিজের ফেসবুকে সালসাবিল লিখেছেন, ‘সকাল থেকে শুরু করে ডজনখানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তোবা মানুষ কমেন্টে দেওয়ার মাহফিল বসাত। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদকঘটিত। যে রকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিল না । এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা। শোয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া। সা রে গা মা পা চলাকালীন পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার।’

এর পর তিনি লেখেন, ‘সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।’

এদিকে সালসাবিলের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে নিজেদের মতপ্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। তার পরিচিত একজন মনে করছেন নোবেলকে শোধরাতে সালসাবিলই পারবেন। তিনি লিখেছেন, ‘তুমি ছাড়া কেউ ওকে ঠিক করতে পারবে না।’ উত্তরে সালসাবিল লেখেন, ‘কম চেষ্টা করিনি।’

বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে গান গাইতে আমন্ত্রণ জানানো হয় নোবেলকে।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নোবেলের মঞ্চে ওঠার কথা ছিল রাত ৯টায়। কিন্তু তিনি গান গাইতে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। সেই সময় মদ্যপ ছিলেন নোবেল। গান গাওয়ার একপর্যায়ে শুরু করেন মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণ।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। নোবেলের এমন আচরণের উত্তরে তারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন তাকে লক্ষ্য করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে আয়োজকরা মঞ্চ থেকে নামিয়ে নেন তাকে।

   


পাঠকের মন্তব্য