স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অবহেলায় সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

মেডিকিউর হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

মেডিকিউর হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

ফরিদপুরের মধুখালীতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। এবার মেডিকিউর হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারের টেবিলেই মারা গেলেন এক প্রসূতি। অজ্ঞান করে সিজার করার পর আর জ্ঞান ফেরেনি নাজমিন নাহার (১৯) নামের ওই প্রসূতির। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের।

সিজারটি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আব্দুস সালাম, ডা: উপমাসহ কয়েকজন নার্স। পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তারদের অবহেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

মৃত নাজমীন পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের আলামিন মোল্যার স্ত্রী। ২ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মধুখালী মেডিকিউর হসপিটালে সিজার করা হয় তার। সিজারে পুত্র সন্তান জন্ম দেন। সিজারের পর জ্ঞান না ফেরায় সাড়ে ৯ টার দিকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, নাজমিনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা গিয়েছে। 

নিহতের স্বামী আলামিন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে আমার স্ত্রীকে মেডিকিউরে ভর্তি করা হয়। সকালে আমি যাওয়ার পূর্বেই আমার মা ও বোনকে ভুল বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ৮ টায় ওটিতে নিয়ে সিজার করানো হয় কিন্তু কোনো লিখিত নেয়নি তারা। তাদের আমি বলেছিলাম, আমি আসার পর অপারেশন করেন, আমার কথা শুনেনি। 

তিনি বলেন, সিজারের পর আমার স্ত্রীর আর জ্ঞান ফিরেনি। আধাঘন্টা পর হাসপাতালের লোকদের জানাই। এরপর তারা ডাক্তার আব্দুস সালামকে ডেকে আনেন। তিনি তরিঘড়ি করে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। এরপরই সেখান থেকে সকলে দ্রুত চলে যায়। ওরা আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে, আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।   

এ বিষয়ে মেডিকিউর হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী মির্জা খোকন এ প্রতিবেদককে বলেন, ডাক্তার জানিয়েছেন অপারেশনের পর রোগীকে পানি খাওয়ানো হয়েছে, যে কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, আমিতো দেখি নাই এবং ছিলামও না। তারা, লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছে, মৃত রোগীর স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই।

এদিকে ডাঃ আঃ সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিজারের পর রোগীর বমি হয়েছিলো, বমি খাদ্য নালিতে আটকে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগীর অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে দেখি, রোগীকে আইসিউতে নিতে হবে। তখন ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করা হয়।

   


পাঠকের মন্তব্য