গৌরনদীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে অবৈধ দাবী করে তান্ডব

মো. ইদ্রিস হাওলাদার

মো. ইদ্রিস হাওলাদার

বিয়ের বৈধ কাগজপত্র চেয়ে বরিশালের গৌরনদীতে স্বামী, স্ত্রীকে গভীর রাতে ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বের করে পাঠ খেতে নিয়ে স্ত্রীর শিলতাহানীর চেষ্টা ও স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এ সময় স্বামীর কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্ত্রীর গহনা ছিনিয়ে নেয় তারা।

ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মাগুরা-মাদারীপুর গ্রামের ইদ্রিস বাহিনীরা। এ ঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় এটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারী শিউলি আক্তার জানান, ১২ বছর পূর্বে ভালবেসে ঢাকার বাসিন্দা মো. মামুন মিয়াকে বিয়ে করেন শিউলি। দাম্পত্য জীবনে ১০ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে তাদের। গত ১৪ মে শিউলির বাবা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গেলে। তার স্বামী মামুন মিয়া তার শশুর বাড়ি গৌরনদী থানাধীন মাগুরা গ্রামে আসেন।

পর দিন ১৫ই মে সোমবার রাত আনুমানিক ৯ টার স্বামী মামুন মিয়াকে নিয়ে নিজ ঘরে অবস্থান করছিলেন শিউলি।

এ সময় একই গ্রামের মৃত. কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদারের নেতৃত্বে আরো ৮ থেকে ১০ জন  শিউলি আক্তারের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে অবৈধ বলে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে পাশর্^বর্তী পাঠ খেতে নিয়ে যায় ইদ্রিসসহ তার বাহিনীরা।

এ সময় শিউলি আক্তারের শীলতাহানির চেষ্টা চালায় এবং তার স্বামীকে মারধর করে শিউলির গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন ও হাতের আঙ্গুলের একটি আন্টিসহ নগদ ৫০,০০০ নগদ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইদ্রিসের কাছে জানতে চাইলে  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তিনি। 

এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো: আফজাল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনকরা হবে।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিভিন্ন সময় শিউলি  আক্তার ও  তার পরিবারকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে ইদ্রিস ও তার বাহিনীরা। ইদ্রিস বাহিনীরর হাত থেকে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রচলিত আইনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

   


পাঠকের মন্তব্য