ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হলেন “মা” 

'মা' বিলকিস বেগম (৪৫)

'মা' বিলকিস বেগম (৪৫)

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন 'মা' বিলকিস বেগম (৪৫)। বিলকিস বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। 

রবিবার, রাতে গ্যেরেজ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন আরিফ আহম্মেদ রাব্বি  (৩০), বাড়ি ফেরার সময় পথে জবাইদুল ও তার সহযোগিরা আরিফ আহম্মেদ রাব্বিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রাব্বি চিৎকার করে, চিৎকারের আওয়াজে এলাকাবাসিসহ রাব্বির মা বের হয়ে আসে।রাব্বির মা রাব্বির কাছে গেলে প্রতিবেশি জবাইদুল ও তার সহযোগিরা রাব্বির মাকে বেধরক মারধর করে পরে পরিবারের লোকজন সহ স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ সজ্জা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

বিলকিস বেগম বলেন, আমাদের দোকানে পাটিয়াডাঙ্গী এলাকার মাসুদ নামের একটা ছেলে কাজ করতো, সে প্রায় ৩ বৎসর আগে আমাদের দোকান ছেরে নিজে দোকান দিয়েছে। শুনেছি প্রতিবেশি জবাইদুলের মেয়ে জুই আক্তারকে নিয়ে গত তিনদিন আগে পালিয়ে যায়। সে কারনে জবাইদুল সহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেছে। 

আজ রাত ১২ টার দিকে আমার ছেলে প্রতিদিনের মতই দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় জবাইদুলসহ তার সহোযোগির বাড়ির পাশের রাস্তায় আমার ছেলেকে আটক, ছেলের চিৎকার শুনে আমি বেরহয়ে জিঙ্গাসা করি আমাদের কি অপরাধ কথা বলতে বলতেই জবাইদুল ও তার সহোযোগিরা আমাকে মারধর শুরু করে, গলা চিপে ধরে মাটিতে ফালায় বুকে পা দিয়ে খিচে, শরিরের কাপর ছিরে দেয় আমি তাদের বিচার চাই । তাদের অত্যাচারে আমি ও আমর পরিবার হুমকির মুখে আছি।

আরিফ আহম্মেদ রাব্বি বলেন,আমার দোকানে গত তিন বছর আগে মাসুদ নামের এক ছেলে কাজ করতো সে এখন নিজেই নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। আমি জানতে পারি  গত শুক্রবারের দিকে আমার বাসার পাশের  জুই নামের এক মেকে নিয়ে সে পালিয়ে যায়।মেয়ের পরিবার আমাদের উপর দোশ চাপিয়ে আমাদের নানাভাবে অত্যাচর করছে।

আমি রবিাবার রাত ১২ টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় জবাইদুল, হেলাল, কাওসার, বাবুসহ আরো বেশ কয়েকজন আমার বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে উঠায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, আমি চিৎকার করলে আমার প্রতিবেশিরা ও আমার মা বের হয়ে আসলে তারা আমার মাকেও ধরে মাটিতে ফেলে  মারধর করে। প্রশাসনের কাছে  আমি এটার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ বিষয়ে জবাইদুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কাউকে মারধর করিনি।

ঠাকুরগাঁ ২৫০ সজ্জা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আব্দুস সালাম বলেন, বিলকিস বেগমকে চিকিৎসার জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য