আ'লীগের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে বিএনপি : শেখ পরশ 

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

বিএনপি-জামাত তথা দেশবিরোধী অশুভ চক্রের অপরাজনীতি, নৈরাজ্য ও চক্রান্তের অংশ চট্টগ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাংচুরের প্রতিবাদ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্ত্বরে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি-জামাত জোট ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে আসতে চায়। অতীতে বিএনপি অতীতে খুন ও সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় এসেছে এবং খুন করেই ক্ষমতায় থেকেছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। 

পৃথিবীর অন্যান্য গনতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। ক্ষমতায় আসতে হলে দেশের জনগনের কাছে গিয়ে ভোট চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আপনারা অংশ না নেন তাহলে রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের মৃত্যু হবে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেন। 

তা না করে যদি জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় যদি আপনারা ব্যাঘাত ঘটান তার দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনারা রাজপথেই পাবেন। মনে রাখবেন মানুষের পাশে আছে শেখ হাসিনা সরকার। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র যুবলীগের নেতা-কর্মিরা প্রতিহত করতে সক্ষম। 

তিনি আরও বলেন, গুম-খুনের রাজলীতি শুরু করে জিয়া। সে ক্ষমতায় এসে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেককে হত্যা করে। পাকিস্তানী ভাবধারায় তারা চলে। জিয়ার গুম-খুনের রাজনীতি খালেদা জিয়াও চালিয়ে যান। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৫ হাজার নেতা-কর্মিকে হত্যা করে। অসংখ্য বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় ও ভাংচুর করে।

শেখ পরশ যুবলীগ নেতা-কর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করে এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান যুবলীগ নেতা-কর্মিদের।  

যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কার ইঙ্গিতে, কার প্ররোচনায় চট্টগ্রামে তারা এমন কাজ করেছে তা আজ স্পষ্ট। তারেকের প্রত্যক্ষ মদদে নেশাখোর, জুয়াখোরেরা এমন কাজ করেছে। দেশকে আপনারা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। নিখিল আরো বলেন, তারুণ্যেও কথা বলছেন, সত্যিকারের তরুন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ। তার ডাকে যুবলীগের হাজার হাজার তরুণ মাঠে নেমে আসবে। আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে করতেই আমাদের জন্ম। পালিয়ে যাবেন আপনারা। আজকে নতুন প্রজন্ম জাগ্রত, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এখন মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। 

বিক্ষোভ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এনামুল হক খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ তথ্য প্রযুক্তি ও আইটি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, সহ সম্পাদক সামিউল আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জি. আসাদউল্লাহ তুষার, বজলুল করিম মীর, সরদার মোহাম্মাদ আলী মিন্টু, ইঞ্জি. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল, শেখ মারুফ হোসেন, জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, শেখ আজমীর, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সহ-সভাপতি জলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল উদ্দিন আহমেদ, মো. সিদ্দিক বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এইচ পাটোয়ারী বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মো. গোলাম সারোয়ার খান জাকির, উপ-গন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কাইসুর রহমান সিদ্দিক সোহাগ, উপ শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক তারেক হোসেন বাদল, উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির আহমেদ খান জনি, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, উপ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মর্তুজা হোসেন সরকার হিমেল, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য মো. আবু বকর সিদ্দিক প্রবাল, মো. শামসুল আলম খান ফারুক, মামুনউজ্জামান লিটু, খোকন মাহমুদ নির্ঝর, মো. আব্দুল বাতেন, শেখ আলামিন, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম রবিউল ইসলাম সোহেলসহ বিভিন্ন থানার সভাপতি-সাধারন সম্পাদক,  আহবায়ক-যুগ্ম আহবায়ক এবং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ।  

   


পাঠকের মন্তব্য