সিলেট-রাজশাহী সিটিতে ভোট আজ

সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নির্বাচন

সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নির্বাচন

সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (২১ জুন)। দুই সিটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটির ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করবে কমিশন।

নির্বাচন পূর্ব, ভোটের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী অনিয়ম-সহিংসতা যেন না ঘটে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশন

সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় ভোটার রয়েছেন। সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন

রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন মহিলা এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। রাজশাহী সিটিতে মেয়রপ্রার্থী ৪ জন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার জন্য দুই সিটিতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যান চলাচল সীমিত থাকবে। সকল ধরনের মিছিলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ভোটারদের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য