ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিস্ফোরক তথ্য

টাকার ভাগ বাটোয়ারা রফা, ঐক্য হল নুর-রেজার

রেজা কিবরিয়া এবং নূর

রেজা কিবরিয়া এবং নূর

প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া এবং নূর। শেষে দুইজনই থলের বেড়াল বের করে ফেলছিলেন। দুইজনই একে অন্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অপবাদ দিচ্ছিলেন। কে কার কাছ থেকে কত টাকা খেয়েছে তারা ফিরিস্তিও প্রকাশ করছিলেন।

যেমন রেজা কিবরিয়া দাবী করেছিলেন যে, ইসরায়েলের কাছ থেকে নুরকে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা পাইয়ে দিতে তিনি ওকালতি করেছেন। অর্থাৎ তিনি যতনা একজন রাজনীতিবিদ তার চেয়ে বড় একজন দালাল। অন্যদিকে, নুর অভিযোগ করেছেন যে, রেজা কিবরিয়া বিএনপি’র প্রধানমন্ত্রী হতে চান। অর্থাৎ তারেক জিয়ার কাছ থেকে অর্থ পেয়েই রেজা কিবরিয়া বিএনপিপন্থি হয়ে গেছেন। তারেক জিয়ার কাছ থেকে রেজা কিবরিয়া কত অর্থ পেয়েছেন তারও ফিরিস্তি দেন নুর এবং এই সমস্ত অর্থ দলের ফান্ডের দেয়ার জন্য দাবি করেন নুর।

যখন দুইজন দুইজনের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি করছিলেন, ঠিক তখনই এই বিশ্রী এবং নোংরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ নেয় গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে টানা ৯ ঘন্টা। এ সময় বিদেশ থেকে যুক্ত হন রেজা কিবরিয়াও। তাদের মধ্যে টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হয়। উভয় পক্ষই চিন্তা করেন যে, এই দল ভেঙে গেলে, এরকম কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি করলে, রাজনীতির নামে বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। আর ভবিষ্যতে চাঁদাবাজিও করা যাবে না, ব্যবসা-বাণিজ্যও করা যাবে না। আর সে কারণেই তারা অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছে।

কোটা আন্দোলন থেকে জন্ম নেয়া গণ অধিকার পরিষদ। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমেই আলোচনায় আসে নুরুল হোক নুর এবং গণ অধিকার পরিষদে নুরপন্থি অন্যান্য নেতারা। এরা কেউই সরকারি চাকরি পাননি। অথচ এরা আন্দোলন করেছিলেন সরকারি চাকরি পাবার প্রত্যাশা থেকেই। সরকারি চাকরি যেমন এরা পাননি, তেমনি বেসরকারি চাকরিও এরা করেননি। এদের কোন বৈধ ব্যবসা বাণিজ্যের খবর কেউ জানে না। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এরা চলেন কিভাবে ? এত বিত্তশালী জিবন-যাপন করেন কিভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল গণ অধিকার পরিষদের গৃহ বিবাধের এক ঝলকেই। এর ফলেই বোঝা গেল যে বিভিন্ন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা, তারেক জিয়াসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে তারা রাজনীতির মাঠে আছেন। 

এদের মূলক কোন আদর্শ নেই। আদর্শ, নীতি বিবর্জিত এই গণ অধিকার পরিষদের মূল লক্ষ্য হল অর্থ উপার্জন। একটি রাজনৈতিক দলের সাইন বোর্ড দিয়ে অর্থ উপার্জন করাই তাদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। আর এই অর্থই যে অনর্থের মূল হয়ে যায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল নুর এবং রেজা কিবরিয়ার বিরোধে।

তবে বিভিন্ন মহল বলছে যে আপাতত সমঝোতা হলেও, দুইজনের কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি বন্ধ হলেও এটি সাময়িক। কারণ রেজা কিবরিয়া যে অর্থ বিভিন্ন সূত্র থেকে গণ অধিকার পরিষদের কাছ থেকে নিয়েছেন সেই অর্থ তিনি যেমন ফেরত দিবেন না, তেমনি নুরও ফেরত দিবেন না মোসাদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ। ফলে কেউই কাওকে ছাড় দেবেন না এবং একটি অনিবার্য সংঘাত আগামীতে অপেক্ষা করছে। 

মোসাদের সঙ্গে নূরের বৈঠক নিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিস্ফোরক তথ্য

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের স‌ঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নূর তিন দফা বৈঠক করেছেন বলে দা‌বি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। তিনি দাবি করেন, নূর মোসাদের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফায় বৈঠক করেছেন।

বৃহস্প‌তিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে সাংবা‌দিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এ দাবি করেন। রোহিঙ্গাদের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির খাদ্য সহায়তা অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবা‌স।

   


পাঠকের মন্তব্য