নন্দীগ্রামে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানী পশুর হাট

রনবাঘার গরুর হাট

রনবাঘার গরুর হাট

আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। যাকে কোরবানির ঈদ বলা হয়, আর এই ঈদকে সামনে রেখে বগুড়া জেলার ঐতিহ্যবাহী নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘার গরুর হাট শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে। সপ্তাহে শুক্রবার এখানে বিশাল এলাকা নিয়ে গরুর হাট বসছে। 

এখন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবারের শেষ হাটে দেখা গেছে পশুর ব্যাপক সমাগম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিলো পুলিশ প্রশাসন এর পাশাপাশি হাট ইজারদারদের নিজস্ব লোকজন নিয়ে বাড়তি নজরদারী। এবার ঈদের হাটে মাঝারী ও বড় আকারের গরুর চাহিদা বেশি। গরুর দাম বেশি হলেও ছাগলের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম। 

অন্যদিকে, ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যর সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সমাধা করতে পশু কিনছেন মানুষ। রণবাঘা পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকার বেপারি, খামারি ও সাধারণ মানুষ বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেঁড়ার নিয়ে আসে। আবার ক্রয়-বিক্রয় খুব ভালো হয় বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত শুক্রবার উপজেলার ওমরপুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে হাটের হাল চিত্র। হাটে বেচা কেনাও ছিলো চোখে পড়ার মত, এর মধ্যে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। 

উপজেলার কিছু গরু বেপারীরা জানান, জেলার অন্য পশুর হাট গুলোতে এবার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশি পশু আসছে। তবে ভারত, নেপাল, ভূটান থেকে গরু না আসায় বেশী দামে দেশী গরু কিনতে আগ্রহী নন অনেকেই। হাটে ছাগলের আমদানীও যথেষ্ট। এ হাটে গত কয়েক হাটের তুলনায় দাম ও বিক্রি বেড়েছে। হাটে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছে বিক্রেতারা তবে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার গরু ও ৩৫ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

এছাড়া ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হয়েছে।  খাঁসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে অনেক। দাম ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ১৫/২০ হাজার টাকার ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে। রিধইল গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, গরুর আমদানী বেশী  দাম ও বেশ ভালো। 

এ বিষয়ে ওমরপুর হাট ইজারাদার জানান, এ বছর ভারত, নেপাল ও ভূটান থেকে গরু না আসায় দেশীয় গরুর আমদানী একটু বেশী  তবে দেশীয় গরুর দামও বেশী । দাম ও চাহিদার সমন্বয়ে ক্রয় বিক্রয় বেশ জমে উঠেছে।

   


পাঠকের মন্তব্য