হাসপাতালের প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান

জামালপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান সহকারী হান্নান এর বিরুদ্ধে তিনটি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে যাচ্ছেন বলে যানা যায়,তার এই অবৈধ কাজগুলো যেন দেখার কেউ নেই।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশের বাগান থেকে তিনটি বৃহৎ আকারের এন্টি করই গাছ রাতের আঁধারে কেটে বিক্রি করে দেন এই হান্নান গঙ্গারা। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষো টাকা। অথচ সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কোন সরকারি স্থাপনায় গড়ে ওঠা বৃক্ষ কাটতে হলে নির্ধারিত টেন্ডারের মাধ্যমে দরপএ দাখিল করে কাটতে হয়। কিন্তু এই গাছগুলো কাটতে কোনপ্রকার টেন্ডার দেওয়া হয়নি।

হাসপাতালে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় গাছগুলো কেটে বিক্রি করার টাকা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করেন হান্নান। এছাড়াও আরও জানা যায় হাসপাতালে হান্নান তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে।

রাতের আঁধারে গাছ কাটার বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মাহফুজুর রহমান এর সাথে মোঠফোনে কথা হলে তিনি বলেন গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কোন প্রকার দরপত্র দাখিল ছাড়া কাজ কর্তন করলে এটি অন্যায়, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, যারা অন্যায়ভাবে গাছ কেটেছে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং বন ও পরিবেশ আইন অনুযায়ী গাছ কাটা যাবে না। তবে ঝুঁকিপূর্ণ হলে আইনেই তার বিধান দেয়া আছে।

   


পাঠকের মন্তব্য