কালকিনিতে মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টা নৈশ্য প্রহরীর 

নৈশ্য প্রহরী মো. দুলাল মোল্লা

নৈশ্য প্রহরী মো. দুলাল মোল্লা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মোল্লারহাট ফাজিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী মো. দুলাল মোল্লার বিরুদ্ধে (১০) বছরের এক মাদ্রাসার মেয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। ওই নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে একাধীকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের আত্মীয় বলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। মামলা, ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, ওই শিশু শিক্ষার্থী তার বাড়ির কাছের একটি বাগানে বুধবার দুপুরে কাঠ বাদাম টোকানোর জন্য যায়। 

এসময় নৈশ্য প্রহরী লম্পট দুলাল মোল্লা ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধওে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়ের চাচি ওখান থেকে যাওয়ার সময় ঘটনা দেখে ফেলে ডাক-চিৎকার শুরু করলে লম্পট দুলাল মোল্লা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে লম্পট দুলাল মোল্লাকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার বাদী বলেন, লম্পট দুলাল মোল্লা আমার মেয়েকে মুখ চেপে ধওে ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। তাই আমি দুলাল মোল্লাকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি ওর বিচার চাই। শিশু শিক্ষার্থীর কাকি বলেন, আমি দুলাল মোল্লাকে ওই র্শিশুকে উলঙ্গ অবস্থায় মুখ চেপে ধরে ধস্তা ধস্তি করতে দেখে চিৎকার করেছি  এসময় দুলাল মোল্লা পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের আত্মীয় বলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। 

ওই মাদ্রাস অধ্যক্ষ আবু রাফে বলেন, দুলাল মোল্লা এর আগেও এরকম একটি ঘটনা ঘটিয়ে ছিলো। পরে মাদ্রাসায় বসে সামাজিকভাবে তার বিচার করা হয়েছে। অভিযুক্তর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশ্রাফুজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবী যানাই। 

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

   


পাঠকের মন্তব্য