টাইটান ধ্বংসের পর ওশানগেটের সব কার্যক্রম স্থগিত

গবেষণা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত

গবেষণা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত

গত জুন মাসে রহস্যে ঘেরা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন টাইটানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেট তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটি এই ঘোষণা দেয়।

ঘোষণায় জানানো হয়, ওশানগেটের সব ধরনের গবেষণা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ওশানগেট ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি ভ্রমণ প্রতিষ্ঠান যা পর্যটকদের জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এবং পানির নিচের বিভিন্ন গিরিখাত কাছ থেকে দেখার জন্য সাবমেরিনে সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণকারীদের সুযোগ করে দেয়।

গেল ১৮ জুন ওশানগেট এর সাবমেরিন টাইটান গভীর সমুদ্রে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ওশানগেটের সাবমেরিন টাইটানের ধংসপ্রাপ্ত অংশগুলো গত ২২ জুন ধংসপ্রাপ্ত জাহাজ টাইটানিক থেকে প্রায় ১,৬০০ ফুট ব্যবধানে সমুদ্রের তলদেশে শনাক্ত করা হয়। এতে  কোম্পানির সিইওসহ পাঁচজন নিহত হয়।

কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে ওশানগেট প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক এবং মেক্সিকো উপসাগর জুড়ে ১৪টিরও বেশি অভিযান এবং ২০০টিরও বেশি ডাইভ পরিচালনা করেছে। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য এর ডুবোজাহাজ টাইটানের একটি আসন প্রতি যাত্রীর খরচ ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

তবে ওশানগেটের কোনোও যাত্রীবাহী সাবমেরিনে প্রাণহানির ঘটনা প্রথম, এছাড়াও ওশানগেটের অভিযানগুলোর মধ্যে সমুদ্রের অতল গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতের যাওয়ার ঘটনাও এই প্রথম। সূত্র : রয়টার্স।

   


পাঠকের মন্তব্য