এবছরে সৌদিতে গিয়ে বাংলাদেশের ৮৭ হাজি মারা গেছেন

বাংলাদেশের ৮৭ হাজির মৃত্যু

বাংলাদেশের ৮৭ হাজির মৃত্যু

পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে বাংলাদেশের ৮৭ হাজি মারা গেছেন। তাদের ৬৭ জন পুরুষ এবং ২০ জন নারী। 

এই হাজিদের বেশিরভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কেউ কেউ কিডনি, হিট স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। গত ৩১ মে থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মারা যান।

তারা হলেন- আমিনুল হক (৬০), নাজমুল আক্তার (৬৩), নুরুল আমিন (৬৮), গোলাম মোস্তফা সরকার (৪৭), শহিদুল্লাহ মন্ডল (৭৬), শহিদুল আলম (৬৭), আয়াজ উদ্দিন (৭১), আমজাদ হোসেন প্রধান (৫৮), শহিদুল ইসলাম (৬০), আক্কাস আলী (৭১), আবুল ফাত্তাহ (৬৪), আব্দুল মান্নান (৫৯), আমান উল্লাহ (৭১), আব্দুল মতিন (৬০), গিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (৫৭), জাকির উদ্দিন সরকার (৫৭), হযরত আলী প্রামানিক (৭৭), আব্দুজ জহির কাজী (৬৮), শামসুল আলম (৭৭), সৈয়দ নিয়ামুল হক (৬২), ডা. শফিকুল ইসলাম (৫৮), সেকান্দার আলী (৬৪), রেদোয়ান (৬৪), শাহাদাত হোসেন (৭১), ফরিদ উদ্দিন (৭৩), এন কে এম শহিদুল ইসলাম কালাম (৫৩), ইউনুস আলী (৭৩), নুরতাজ আলী (৭৪), আমির হোসেন (৬৮), আবুল হাসেম ৬২), আইয়ুব খান (৪৮), আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), মতিউর রহমান (৬৮), খন্দকার জামাল উদ্দিন (৬১), শেখ ফরিদ খান (৬৬), আব্দুল কুদ্দুস খান (৬৪), আজাহার আলী (৭৩), কাজী আবুল কাশেম (৬৩), আবুল কালাম (৬১), আলী হোসেন (৬৭), আব্দুল জব্বার (৬৬), শাহজান আলী (৬৭), আবু তাহের (৬১), আবুল হাসেন ভুঁইয়া (৭১), আমজাদ হোসেন (৭১), আব্দুল মান্নান (৬৮), মমতাজুল হক (৮১), আব্দুল মোতালিব (৬৩), আবু মুসা (৬১), আহমেদ আলী (৬৪), গোলাম মোস্তফা (৬৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম (৭২), আব্দুল হাদী (৪১), হাফিজার রহমান জিলাদার (৫৪), সুলায়মান খা (৭১), আব্দুল মালেক (৭১), আব্দুল হান্নান ভুঁইয়া (৭০), আব্দুস সালাম (৬৯), আদম উদ্দিন মন্ডল (৭১), শামসুল আলম (৬২), রহমান খালাসী (৭৮), আবুল কাশেম (৪৬), ফারগু মিয়া (৫৮), আব্দুল গাফফার ৬১), রাহিমা বেগম (৫২), মোসলেমা খাতুন (৬৫), হালিমা বেগম (৬২), হামিদা বেগম (৭৯), রুমী বেগম (৪৫), মনোয়ারা বেগম (৫৫), হাজেরা বেগম (৬১), জামিলা বেগম (৫৬), মাখফুরা খাতুন (৬১), শাহানারা বেগম (৬৪), পারুল বেগম (৭১), সালমা সুলতানা (৫৫), ওজুফা বেগম (৬১), মজিরন নেছা (৭১), মনোয়ারা বেগম (৭২), ফাতেমা বেগম (৬৫), রাবেয়া বেগম (৫৮), সানজিদা খান (৬৭), রোকেয়া বেগম (৬২), বিলকিস বেগম (৫২) প্রমুখ।

তাদের কেউ মক্কায় হজ এজেন্সির ভাড়া করা হোটেলে, কেউ ভাড়া করা হোটেল থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে আসার পথে, কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে, কেউ কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল, কেউ বাংলাদেশ মিশনের ক্লিনিকে এবং কেউ কিং ফয়সাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিসে কর্মরত চারজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, প্রয়াত হাজিদের সৌদি আরবের মক্কায় শরাইয়া ও মদিনার বাকীউল গরকা (জান্নাতুল বাকী) কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সৌদি আরব সরকার তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দাফনের ব্যবস্থা করেছে।

   


পাঠকের মন্তব্য