ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও টিকটক-ফেসবুকে ছড়িয়ে যুবক কারাগারে

আল-ফারাবি খান আসিফ (১৯)

আল-ফারাবি খান আসিফ (১৯)

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টিকটক ও ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করার অভিযোগে আল-ফারাবি খান আসিফ (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ জুলাই) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে পাঁচটায় তাকে উপজেলার মানশ্রী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসিফ মানশ্রী গ্রামের মো. ফেরদৌস খানের ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসিফ একই গ্রামের ওই ছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করত, কু-প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে আসিফের পরিবারের কাছে নালিশ দিলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ১২ জুন ওই ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে। পরে সেই ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। শেষে গত বুধবার (৫ জুলাই) আসিফ সেই নগ্ন ভিডিও ভুয়া ফেসবুক ও টিকটক একাউন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ আসিফকে গ্রেফতার করে।

তবে এলাকাবাসী জানায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আসিফের। সম্পর্কের জেরেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে ঘটনা জানার পর ছেলের পরিবার বিয়ে করাতে রাজি হয়েও এতে মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো আসিফ ওই ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে ঘটনার পরপর মিমাংসা করার জন্য একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার পরপরই আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য