মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার

অভিযুক্ত আসামি শওকত তস্তারকে (২৯)

অভিযুক্ত আসামি শওকত তস্তারকে (২৯)

মাদারীপুরে গুচ্ছগ্রামের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি শওকত তস্তারকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। সোমবার রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শওকত সদর উপজেলার ছিলারচর এলাকার জলিল তস্তারের ছেলে।

জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর তার বাবা ও দাদির সঙ্গে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে বসবাস করে। গত শুক্রবার দুপুরে চার বছর বয়সী চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল সে। পরে বোনকে চাচার বাসায় রেখে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। 

এ সময় ওই কিশোরীকে একা পেয়ে তার গতিরোধ করে শওকত তস্তার কিশোরীর মুখ চেপে হাত-পা বেঁধে পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে শওকতের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শওকত ওই কিশোরীকে বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর স্বজনরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওইদিন রাতেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

ঘটনার একদিন পরেই ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শওকত তস্তারকে আসামি করে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকে আসামি শওকত তস্তার এলাকায় গা ঢাকা দেন। তাকে ধরতে একাধিক অভিযান চালায় পুলিশ। 

বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসলে মাদারীপুর র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১১ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে আসামি শওকত তস্তার নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন। এরপর র‌্যাবের একটি দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় অভিযান চালিয়ে শওকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মুহতাসিম রসুল বলেন, ‘মামলা হওয়ার আগে থেকেই অভিযুক্ত আসামি শওকত পলাতক ছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করি। একপর্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি শওকতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। 

আসামিকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

   


পাঠকের মন্তব্য