নন্দীগ্রামে সাংবাদিক বাদশার বাড়িতে হামলার চেষ্টা

প্রবীণ সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বাদশার বাড়ি

প্রবীণ সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বাদশার বাড়ি

অর্ধ-শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বহিরাগতদের মহড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সিংজানী এলাকায় প্রবীণ সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বাদশার বাড়িতে হামলা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অর্ধ-শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরিহিত বহিরাগত অজ্ঞাত ব্যক্তিরা লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়েছে উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

নুর মোহাম্মদ বাদশা নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টি চলাকালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সিংজানী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ওই সাংবাদিকের বসতবাড়িতে হামলা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। বহিরাগত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক বাদশা। বিষয়টি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. বকুল হোসেন। 

অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টি চলাকালে ৪৫/৫০টি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ওই সাংবাদিকের বসতবাড়ির সামনের রাস্তায় মহড়া দিয়ে বাড়ির গেটের সামনে এসে জড়ো হয়। তারা মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ছিল। বহিরাগত ব্যক্তিরা ওই বাড়ির দরজা-জানালায় ধাক্কাধাক্কি করে ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। 

প্রবীণ সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বাদশা জানান, হামলা চেষ্টাকারীদের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক থাকায় তিনি কাউকেই চিনতে পারেননি। বহিরাগত ব্যক্তিরা তাকে এবং তার ছেলে শামসুদ্দিনকে ডাকাডাকি করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতিসহ হুমকি দেয়। ঘটনার সময় বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ করে তার ছেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। ১০ মিনিট পরই হামলা চেষ্টাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার পর থেকেই ওই সাংবাদিকের পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। 

এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে হামলা চেষ্টাকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে প্রবীন সাংবাদিক বাদশার বসতবাড়িতে হামলা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. বকুল হোসেন, সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, সহ সভাপতি জুলফিকার আলী ভূট্রো, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন দুলাল, দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

   


পাঠকের মন্তব্য