মোরেলগঞ্জে ৩ প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত

সুপার অহিদসহ ২ শিক্ষকের বেতন স্থগিত, তদন্ত কমিটি গঠন

সুপার অহিদসহ ২ শিক্ষকের বেতন স্থগিত, তদন্ত কমিটি গঠন

সুপার অহিদসহ ২ শিক্ষকের বেতন স্থগিত, তদন্ত কমিটি গঠন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএসএস দাখিল মাদ্রাসা ও দুটি মসজিদের উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৩ টি প্রকল্পের বরাদ্দ ৬ লাখ টাকার কোন কাজ না করে ভূয়া কমিটি দেখিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএসএস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. অহিদুল ইসলাম ও ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত করে বুধবার ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 

অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নে মধ্য জোমাদ্দারপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দান উন্নয়ন, বারইখালী-সুতালড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন ও বিএসএস দাখিল মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করান ওই মাদরাসা সুপার মো. অহিদুল ইসলাম। 

বরাদ্ধ গ্রহন করে মনগড়া ভুয়া কমিটি দাখিল করে বরাদ্দের টাকা তুলে সংশ্লীষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে কোন কিছু না জানিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানসমুহে কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে শতভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন সুপার অহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। ঘটনা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর মো. নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয়রা জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

বিএসএস দাখিল মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. তারেক সুলতান বলেন, ৩টি প্রকল্পের নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই, মাদরাসা সুপার অহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে পু রো বিষয়টি উদঘাটনের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বিএসএস দাখিল মাদরাসার সুপার মো. অহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি আজ মাদরাসার কাজে বাইরে আছেন বলে সহকারী সুপার মো. মাইনুদ্দিন হিরু জানান। 

   


পাঠকের মন্তব্য