চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী'র বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা -ষড়যন্ত্রমূলক, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চতুর্থ বারের মতো শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছেন পালংখালী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের জনসাধারণ। 

গতকাল ২৭ আগস্ট পালংখালী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের জনসাধারণ পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা পাহাড় খেকো ও ভূমিদস্যুদের দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।  
 
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গফুর উদ্দিন চৌধুরী একজন জনপ্রিয় ও গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের প্রাণপ্রিয় চেয়ারম্যান হিসেবে টানা তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে নিরলসভাবে জনগণের সেবা করে যাচ্ছে। জনগণের প্রাপ্য সেবা তাদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে বা যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে গভীর অনুসন্ধান করে তাদের আসল পরিচয় বের করা উচিত বলে মনে করেন বক্তারা। 

এবিষয়ে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত কাজে গত দুই সাপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছি, তবে পত্র পাঠানোর বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি একটি প্রতিবেদন যেখানে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, এখানে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি বা সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার কাছে বারবার পরাজিত প্রার্থীরা ও একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সকলেই এক জোট হয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বেশির ভাগই ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পাহাড় খেকো এবং অবৈধ বালু উত্তোলনকারী।প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় আমি প্রতিবাদ করায় পাহাড় খেকো ও বালু খেকোদের অপতৎপরতা বন্ধে হয়ে গেছে। ফলে প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে তার হারানো রূপ।
 
তিনি আরও বলেন, ভালো কাজ করলে এহেন শক্রুর অভাব হয় না। আমি যেহেতু জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের এসব অপকর্মের বাধা দেওয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব।তাদের অপকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন সভা সমাবেশে তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয় এবং সরকারী বিভিন্ন দপ্তরকে আমার সহযোগিতা করতে হয়। এসব কারনেই আমার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে  দলবেঁধে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাইংখালির কয়েকজন প্রবীন মৌলভী ও শিক্ষক জানান  আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় ও  জনগনের স্বার্থহানী হয় এবং সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেনি, ততক্ষণ জনগণের সেবা করে যেতে পারবেন। 

স্থানীয় সাবেক জনপ্রতিনিধিরা মন্তব্য করে বলেন, তার সাথে কারো কোন ব্যক্তিগত সমস্যা  নেই। তারপরেও কেন তারা এই জনবান্ধব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এসব মিথ্যা অভিযোগ বা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে! 

পালংখালীর উচ্চশিক্ষিত এক যুবক প্রতিবেদককে জানান, ভোটের রাজনীতিতে তো প্রতিযোগীতা থাকবেই, প্রতিযোগীতাকে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে রুপ দেওয়া কোন সচেতন বা বিবেকবান মানুষের কাজ নয়।বরং স্থানীয় জনবিচ্ছিন্ন প্রতিপক্ষদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। 

পালংখালীর রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিবর্গরা চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীর বিষয়টি জনতার রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকের প্রতি বিনীত আহ্বান জানান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পালংখালী ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল হক, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন ও ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাফরুল আলম বাবুল সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালং খালী ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৩ বারের (প্রত্যক্ষ ভোটে) নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

   


পাঠকের মন্তব্য