সাঈদীর মৃত্যুতে শোক;  লালমনির ১৩ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার 

লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বহিস্কার

লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বহিস্কার

জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়ায় লালমনিরহাটে ১৩ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে দেন লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ।

বহিস্কার আদেশ প্রাপ্তরা হলেন, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু, চলবলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সুমন, গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান ভুইয়া, গোতামারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোনাব্বেরুল হক মিশেল, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক আল আমিন হোসেন সাগর, উত্তরণ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী মামুনুর রশিদ লিওন খান, মোগলহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম রানা, যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহীম ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন, লালমনিরহাট পৌর ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শ্রাবন হোসেন, লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন, পাটগ্রাম পৌর ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের  সদস্য ইবনে রুসদ ও জোংডা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সহিদ হোসেন।

প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাদের সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয়  ছাত্রলীগের কাছে তাদের প্রত্যেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতাকে এক সাথে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মীর দাবি, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে গত ১৪ আগস্ট রাতে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্টাটাসটি ছিল, "আজকে শিবির চেনার দিন, দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা মানসিকভাবে জামাত-শিবিরদের আজকে চিনতে পারবেন"। এই স্ট্যাটাসে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্ঠি হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেন।

শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে এই স্ট্যাটাসকে ঘিরে তাকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরু। সেখানে তিনি দাবি করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ কতিপয় লোকজন তাকে মারপিট ও লাঞ্চিত করে। যা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককেও মৌখিক অবগত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরেই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হিরুসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম ও সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

   


পাঠকের মন্তব্য