নেত্রকোনায় এমপিকে অপহরণের অভিযোগে স্ত্রীর মামলা

সংসদ-সদস্য (এমপি) ওয়ারেসাত হোসেন বীরপ্রতীক

সংসদ-সদস্য (এমপি) ওয়ারেসাত হোসেন বীরপ্রতীক

নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) ওয়ারেসাত হোসেন বীরপ্রতীককে অপহরণের অভিযোগ এনে পূর্বধলা থানায় মামলা করা হয়েছে। নয়জনের নাম উল্লেখ করে ওই সংসদ-সদস্যের স্ত্রী রওশন হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতে পূর্বধলা থানায় মামলাটি করেন। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এ ব্যাপারে সংসদ-সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সংসদ-সদস্য ওয়ারেসাত হোসেনের বাড়ি পূর্বধলার কাজলা থেকে আসামিরা তাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। তবে ঢাকায় এসে তার বাসভবনে না নিয়ে অন্যত্র নিয়ে আটকে রাখা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সংসদ-সদস্যের স্ত্রীকে জানায়, এমপি বিদেশ চলে গেছেন। কিন্তু সংসদ-সদস্যের স্ত্রী রওশন হোসেন তাদের কথা বিশ্বাস না করে খোঁজাখুঁঁজি করতে থাকেন। পরবর্তী সময় আসামিরা সংসদ-সদস্য ওয়ারেসাত হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে জাল তালাকনামার একটি ফটোকপি স্ত্রীর কাছে পাঠায়।

এছাড়াও ওয়ারেসাত হোসেনকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে আসামিরা জাল কাবিননামা ডাকযোগে বিভিন্ন অফিসে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে ওয়ারেসাত হোসেনকে খোঁজাখুঁজির পর ২৭ মার্চ তাকে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এমপি ও মামলার সাক্ষীদের মাধ্যমে জানা যায়, আসামিরা তাকে আটকে রেখে ব্যক্তিগত ফোনের মাধ্যমে চাকরি দেবে বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৮ মার্চ ওয়ারেসাত হোসেনকে চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। এরপর সুস্থ হয়ে ১১ আগস্ট দেশে আসার পর মামলা করা হয়। সংসদ-সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন ও রওশন হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

এ ব্যাপারে মামলার আসামি নাদীয়া আক্তার বলেন, ঘটনার এতদিন পর একজন সংসদ-সদস্যকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এটা হাস্যকর। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা অনেকেই ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন। 

   


পাঠকের মন্তব্য