ব্যবসা ছোট হোক তবু তো হাত পেতে চলি না
![আশির্ধ্বো বয়সী ফজলুল হক প্রামানিক](https://projonmokantho.com/upload/images/1693465082243.jpg)
আশির্ধ্বো বয়সী ফজলুল হক প্রামানিক
আগে জিনিসপত্রের দাম কম ছিল, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো না। এখন তো সবকিছুর দাম বেশি। ঝাল মুড়ি বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। এই সামান্য আয়ে সংসারের খরচাপাতি করতে খুব কষ্ট হয়। তারপরও আমি খুশি, ভালো আছি। ব্যবসা ছোট হোক তবু তো হাত পেতে বা ভিক্ষা করি না।
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন আশির্ধ্বো বয়সী ফজলুল হক প্রামানিক। তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ফুলকোঁচা ইউনিয়ন এর ব্রাহ্মণপাড়া আমতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার সহায় সম্বল সম্পদ বলতে শুধু একটু ভিটেবাড়ির জায়গা। সংসার জীবনে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বড় ছেলে আমিনুল পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার ও ছোট ছেলে ইউসুফ আলী কৃষি কাজ করে।মেয়ে ফরিদার জামাই মৎস্য ব্যবসায়ী।ফজলুক হক বলেন দুই ছেলে টানাপোড়ার সংসারে আমাকে কি চালাবে তাদেরই সংসার চালাতে কষ্ট হয়।তবে মেয়ে ও জামাই অনেক সাহায্য করে আমাদের সংসার চালাতে।
আপনার সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি।তবুও যেন কোন মানুষের কাছে হাত পেতে আমার জীবন না চলতে হয়, এই ভাবে আবেগ ঘন কণ্ঠে কথাগুলো বললেন ঝাল মুড়ি বিক্রেতা ফরিদুল হক প্রামানিক।
মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানোর পর বিয়ে দিয়েছেন। আর দুই ছেলের মধ্যে একজন এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
পাঠকের মন্তব্য